ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

    অভাবের তাড়নায় একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
    • / ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

    অভাবের তাড়নায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় রবিবার (২৫ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আল আমিন (২৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম (২০)। নিহত আল আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

    জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপড়নে তাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে আল আমিন বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এই দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেন।

    রবিবার রাতে তারা কেরির টেবলেট (চালের পোকা মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় পর রাত একটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আল আমিনও।

    এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    অভাবের তাড়নায় একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

    আপডেট সময় ০৬:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

    অভাবের তাড়নায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় রবিবার (২৫ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আল আমিন (২৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম (২০)। নিহত আল আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

    জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপড়নে তাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে আল আমিন বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এই দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেন।

    রবিবার রাতে তারা কেরির টেবলেট (চালের পোকা মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় পর রাত একটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আল আমিনও।

    এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।