ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

    আবার চালু হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
    • / ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

    মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খোলার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর, কর্মী প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৪ মে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এরপর আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সভা।

    এই খবরে রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বেশ আশাবাদী। তবে তাদের প্রধান দাবি, সরকার যেন কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন চুক্তি করে। তারা অভিবাসন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি একটি সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজারের প্রত্যাশা করছেন।

    রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মতে, মালয়েশিয়ার সাথে দর কষাকষির সময় বাংলাদেশকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানের উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

    অতীতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত বেশিরভাগ সমঝোতা চুক্তি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দুর্নীতিতে বহু কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে, ২০২১ সালের চুক্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষমতা মালয়েশিয়ার হাতে চলে যাওয়ায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়।

    এই সিন্ডিকেটের কারণে অভিবাসন ব্যয় আকাশচুম্বী হয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল এবং মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেক কর্মী কাজ না পেয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার উপর জোর দিচ্ছে, যাতে অভিবাসন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)-এর সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম মনে করেন, যদি বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) একটি ডেটা ব্যাংক তৈরি করে।

    সেখান থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মী বাছাই করে, এবং যদি সকল আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তবে অভিবাসন খরচ দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যেই রাখা সম্ভব। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে যারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন, তারাই আবারও বিভিন্ন উপায়ে এর অপচেষ্টা করছেন। এমন কিছু ঘটলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।

    মালয়েশিয়ার সাথে নতুন চুক্তি করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    আবার চালু হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

    আপডেট সময় ০১:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

    মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খোলার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর, কর্মী প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৪ মে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এরপর আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সভা।

    এই খবরে রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বেশ আশাবাদী। তবে তাদের প্রধান দাবি, সরকার যেন কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন চুক্তি করে। তারা অভিবাসন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি একটি সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজারের প্রত্যাশা করছেন।

    রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মতে, মালয়েশিয়ার সাথে দর কষাকষির সময় বাংলাদেশকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানের উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

    অতীতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত বেশিরভাগ সমঝোতা চুক্তি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দুর্নীতিতে বহু কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে, ২০২১ সালের চুক্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষমতা মালয়েশিয়ার হাতে চলে যাওয়ায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়।

    এই সিন্ডিকেটের কারণে অভিবাসন ব্যয় আকাশচুম্বী হয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল এবং মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেক কর্মী কাজ না পেয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার উপর জোর দিচ্ছে, যাতে অভিবাসন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)-এর সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম মনে করেন, যদি বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) একটি ডেটা ব্যাংক তৈরি করে।

    সেখান থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মী বাছাই করে, এবং যদি সকল আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তবে অভিবাসন খরচ দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যেই রাখা সম্ভব। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে যারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন, তারাই আবারও বিভিন্ন উপায়ে এর অপচেষ্টা করছেন। এমন কিছু ঘটলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।

    মালয়েশিয়ার সাথে নতুন চুক্তি করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত।