ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

    গাজায় যুদ্ধ বন্ধের শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সৌদি আরব

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

    গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার মধ্যেই সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপন আলোচনা চালিয়েছে তেলআবিব। যদিও সৌদি আরব স্পষ্ট শর্ত দিয়েছিল— গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলেই কেবল এই আলোচনা বাস্তব রূপ নিতে পারে।

    শুক্রবার (১১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়।

    তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ২০২৪ সালের ১৮ মে সৌদি আরবের দাম্মামে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রিন্স সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তবে তিনি শর্ত দেন— গাজায় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নিশ্চিত পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

    পরদিন, ১৯ মে, সুলিভান ইসরায়েল সফরে গিয়ে সৌদি প্রিন্সের বার্তা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে পৌঁছে দেন। এরপর ২৭ মে ইসরায়েল এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যা ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন জো বাইডেন।
    প্রাথমিকভাবে নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিলেও জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি যুদ্ধবিরতির ওপর নতুন শর্ত আরোপ করেন। এতে করে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন হয়নি এবং সৌদি-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনাও নস্যাৎ হয়ে যায়।

    অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন না হলেও ইসরায়েল এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক মন্ত্রীকে গোপনে আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এক মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণের রক্ত ঝরার মধ্যেই ইসরায়েল তার কূটনৈতিক লক্ষ্য পূরণে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গাজায় যুদ্ধ বন্ধের শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সৌদি আরব

    আপডেট সময় ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

    গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার মধ্যেই সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপন আলোচনা চালিয়েছে তেলআবিব। যদিও সৌদি আরব স্পষ্ট শর্ত দিয়েছিল— গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলেই কেবল এই আলোচনা বাস্তব রূপ নিতে পারে।

    শুক্রবার (১১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়।

    তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ২০২৪ সালের ১৮ মে সৌদি আরবের দাম্মামে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রিন্স সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তবে তিনি শর্ত দেন— গাজায় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নিশ্চিত পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

    পরদিন, ১৯ মে, সুলিভান ইসরায়েল সফরে গিয়ে সৌদি প্রিন্সের বার্তা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে পৌঁছে দেন। এরপর ২৭ মে ইসরায়েল এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যা ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন জো বাইডেন।
    প্রাথমিকভাবে নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিলেও জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি যুদ্ধবিরতির ওপর নতুন শর্ত আরোপ করেন। এতে করে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন হয়নি এবং সৌদি-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনাও নস্যাৎ হয়ে যায়।

    অন্যদিকে, হামাস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন না হলেও ইসরায়েল এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক মন্ত্রীকে গোপনে আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এক মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণের রক্ত ঝরার মধ্যেই ইসরায়েল তার কূটনৈতিক লক্ষ্য পূরণে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।