ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

    গাজা অভিমুখী জাহাজে শহিদুল আলমের কষ্ট

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
    • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

    গাজা অভিমুখে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা জাহাজ ‘কনশানস – এ আছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

    সমুদ্রপথে বিপদসংকুল এ যাত্রায় কেমন কাটছে তাদের দিন,

    সেই অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি নিজেই—ঘুমহীন রাত, সীমিত পানি, সামরিক নজরদারি ও অদম্য প্রত্যয়ের গল্পে ভরা প্রতিটি মুহূর্ত।

    এই ‘কনশানস’ নামের জাহাজটি ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর অংশ, যার লক্ষ্য অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো।

    জাহাজটিতে আছেন সাংবাদিক, চিকিৎসক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় শতাধিক মানুষ।

    তাদের যাত্রা শুরু হয় ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে, লক্ষ্য—গাজার তীরে অবরুদ্ধ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।

    শহিদুল আলম জানান, জাহাজের কেবিনগুলো কেবল ক্রুদের জন্য বরাদ্দ। বাকিদের ঘুমাতে হচ্ছে ডেকে স্লিপিং ব্যাগে।

    বিশুদ্ধ পানির অভাবে গোসল করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান ও রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, “এখানে সবাই একে অপরের জন্য কাজ করছে।

    শৌচাগার পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে রান্না ও খাবার পরিবেশন—সবই আমরা নিজেরা করছি।

    ভূমধ্যসাগরে যাত্রাকালে জাহাজটির ওপর দিয়ে একটি সামরিক বিমান উড়ে যায়।

    জাহাজে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা সেটি ইসরায়েলি বিমান বলে ধারণা করছেন।

    এছাড়াও ড্রোন দ্বারা সারাক্ষণ নজরদারি চলছে। শহিদুল বলেন,

    আমরা শান্তির মিশনে এসেছি, কিন্তু চারপাশের পরিবেশে একটা ভয় কাজ করে সব সময়।

    প্রবল ঢেউ, তীব্র রোদ আর রাতের শীতল বাতাসে কষ্টের সীমা নেই, তবুও মনোবল অটুট রাখছেন যাত্রীরা।

    তাদের লক্ষ্য একটাই—গাজার অবরুদ্ধ মানুষের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

    শহিদুল আলম বলেন, “মানবতার জন্য যদি একটু কষ্ট সহ্য করতে হয়, তাতেও ভয় নেই। আমাদের যাত্রা একধরনের প্রতিবাদও।

    তাদের পরিকল্পনা ছিল রোববার গাজা পৌঁছানোর, কিন্তু এখন সেই সময় আরও পেছাতে পারে।

    ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বাধা বা আটকানোর ঝুঁকি থাকলেও, তারা বলছেন—“আমরা মানবিক বার্তা নিয়ে যাচ্ছি, কোনও রাজনীতি নয়।

    দেশের একজন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী হিসেবে শহিদুল আলম বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

    গাজা মিশনে তার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক অবস্থান ও শান্তির বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভাসমান ‘কনশানস’ এখন শুধু এক জাহাজ নয়, মানবতার প্রতীক।

    সেই জাহাজেই শহিদুল আলমরা দিচ্ছেন এক মহৎ বার্তা—অত্যাচারের বিরুদ্ধে, মানবতার পক্ষে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গাজা অভিমুখী জাহাজে শহিদুল আলমের কষ্ট

    আপডেট সময় ০৬:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

    গাজা অভিমুখে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা জাহাজ ‘কনশানস – এ আছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

    সমুদ্রপথে বিপদসংকুল এ যাত্রায় কেমন কাটছে তাদের দিন,

    সেই অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি নিজেই—ঘুমহীন রাত, সীমিত পানি, সামরিক নজরদারি ও অদম্য প্রত্যয়ের গল্পে ভরা প্রতিটি মুহূর্ত।

    এই ‘কনশানস’ নামের জাহাজটি ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর অংশ, যার লক্ষ্য অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো।

    জাহাজটিতে আছেন সাংবাদিক, চিকিৎসক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় শতাধিক মানুষ।

    তাদের যাত্রা শুরু হয় ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে, লক্ষ্য—গাজার তীরে অবরুদ্ধ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।

    শহিদুল আলম জানান, জাহাজের কেবিনগুলো কেবল ক্রুদের জন্য বরাদ্দ। বাকিদের ঘুমাতে হচ্ছে ডেকে স্লিপিং ব্যাগে।

    বিশুদ্ধ পানির অভাবে গোসল করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান ও রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, “এখানে সবাই একে অপরের জন্য কাজ করছে।

    শৌচাগার পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে রান্না ও খাবার পরিবেশন—সবই আমরা নিজেরা করছি।

    ভূমধ্যসাগরে যাত্রাকালে জাহাজটির ওপর দিয়ে একটি সামরিক বিমান উড়ে যায়।

    জাহাজে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা সেটি ইসরায়েলি বিমান বলে ধারণা করছেন।

    এছাড়াও ড্রোন দ্বারা সারাক্ষণ নজরদারি চলছে। শহিদুল বলেন,

    আমরা শান্তির মিশনে এসেছি, কিন্তু চারপাশের পরিবেশে একটা ভয় কাজ করে সব সময়।

    প্রবল ঢেউ, তীব্র রোদ আর রাতের শীতল বাতাসে কষ্টের সীমা নেই, তবুও মনোবল অটুট রাখছেন যাত্রীরা।

    তাদের লক্ষ্য একটাই—গাজার অবরুদ্ধ মানুষের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

    শহিদুল আলম বলেন, “মানবতার জন্য যদি একটু কষ্ট সহ্য করতে হয়, তাতেও ভয় নেই। আমাদের যাত্রা একধরনের প্রতিবাদও।

    তাদের পরিকল্পনা ছিল রোববার গাজা পৌঁছানোর, কিন্তু এখন সেই সময় আরও পেছাতে পারে।

    ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বাধা বা আটকানোর ঝুঁকি থাকলেও, তারা বলছেন—“আমরা মানবিক বার্তা নিয়ে যাচ্ছি, কোনও রাজনীতি নয়।

    দেশের একজন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী হিসেবে শহিদুল আলম বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

    গাজা মিশনে তার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক অবস্থান ও শান্তির বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভাসমান ‘কনশানস’ এখন শুধু এক জাহাজ নয়, মানবতার প্রতীক।

    সেই জাহাজেই শহিদুল আলমরা দিচ্ছেন এক মহৎ বার্তা—অত্যাচারের বিরুদ্ধে, মানবতার পক্ষে।