জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

- আপডেট সময় ০২:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশ শেষে তারা কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির পাঁচতলা ভবনের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে গণঅধিকার পরিষদ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দলটির নেতাকর্মীরা মিছিলসহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছান। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড উপেক্ষা করে তারা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং পরে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
হামলায় অংশ নেওয়া রিফাত নামের এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, “জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের নুর ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে, তাই জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব রাখব না।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক আক্কাস জানান, “হঠাৎ একদল লোক এলে পুলিশ বাধা দেয়। কিন্তু তারা পুলিশের বাধা না মেনে অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। কিছুক্ষণ পর ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়।”
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ ব্যানার নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে—এই কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হচ্ছে। অথচ যারা ছাত্রলীগ করেছে, তারা এখন এনসিপি করছে। তাহলে আগে তাদেরই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
বিএনপিসহ ৩২টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাহলে তাদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে কি না। আসলে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দল হব, আর সেটাই ঠেকাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।”
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা এসে আগুন লাগিয়েছিল। পুলিশ দ্রুত তাদের সরিয়ে দেয় এবং জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”