ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

    জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: সাবেক ৩৯ মন্ত্রী-আমলাসহ ট্রাইব্যুনালে হাজির

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

    জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

    রোববার (২০ জুলাই) সকালে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ হাজির করা হয়। এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে মামলাগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয়, অভিযুক্ত ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে মামলার শুনানি শুরু করতে হবে।

    অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো:

    • সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য: ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম
    • সাবেক উপদেষ্টা: তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী
    • রাজনৈতিক নেতা: রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি), হাসানুল হক ইনু (জাসদ)
    • সাবেক বিচারপতি: শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
    • সাবেক আমলা: জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব)
    • আরও কয়েকজন সাবেক পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা

    অভিযোগে বলা হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় অভিযুক্তরা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়। এতে বহু মানুষ হতাহত হন এবং দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।

    এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গণহত্যার ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
    মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তদন্ত ও শুনানির কাজ চলছে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: সাবেক ৩৯ মন্ত্রী-আমলাসহ ট্রাইব্যুনালে হাজির

    আপডেট সময় ১২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

    রোববার (২০ জুলাই) সকালে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ হাজির করা হয়। এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে মামলাগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয়, অভিযুক্ত ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে মামলার শুনানি শুরু করতে হবে।

    অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো:

    • সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য: ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম
    • সাবেক উপদেষ্টা: তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী
    • রাজনৈতিক নেতা: রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি), হাসানুল হক ইনু (জাসদ)
    • সাবেক বিচারপতি: শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
    • সাবেক আমলা: জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব)
    • আরও কয়েকজন সাবেক পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা

    অভিযোগে বলা হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় অভিযুক্তরা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়। এতে বহু মানুষ হতাহত হন এবং দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।

    এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গণহত্যার ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
    মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তদন্ত ও শুনানির কাজ চলছে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।