নতুন সংবিধান ছাড়া জাতীয় নির্বাচন অসম্ভব-নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

- আপডেট সময় ১২:০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সংস্কার ও নতুন সংবিধান ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মায়েদের কাছে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ‘ফ্যাসিবাদী’ সংবিধানে এবং একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যাওয়া হচ্ছে। তাহলে এত মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন হলে গণ-অভ্যুত্থানে যাদের হাত চলে গেছে, সরকারকে তাদের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, যদি সংস্কার ছাড়া, নতুন সংবিধান ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হয়, তাহলে ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে।” গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের চরিত্র হননের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের এমনভাবে ক্যারেক্টারাইজেশন করা হচ্ছে, যেন তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অপরাধী।”
গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই জনগণের পকেটের টাকায় চলে। তাদের কোনো দায়বদ্ধতা, জবাবদিহি বা স্বচ্ছতা নেই। তাদের একটাই কাজ—মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে ‘আয়নাঘরে’ নিয়ে আসা। আয়নাঘর তো আমরা ভেঙে দিয়েছি। সামনে যদি আয়নাঘরের চেষ্টা করা হয়, আমরা সেই আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেব।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই তাদের সংস্কার করতে হবে। যদি তা করতে না পারেন, ট্যাক্সের টাকা নিয়ে যদি গুলি তাক করেন, বাংলাদেশের মানুষ এখনো ঘুমায়নি। কয়টা অস্ত্র তাক করবেন? কয়জনকে মারবেন? মৃত্যু মেনে নিয়েছি। মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। এখন যতবার মারবেন, ততবার আমাদের পুনর্জন্ম হবে আবু সাঈদ হয়ে।”
গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ছাত্রশক্তির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আরেকটা ফ্যাসিবাদের কারখানা রয়ে গেছে, সেটা হলো বঙ্গভবন। এটার পতন আপনাদের হাত ধরেই হবে।”