নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আইসিসির ৪ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট সময় ০১:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আদালতের চার কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২০ আগস্ট) মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল তাদের নাম বিশেষভাবে চিহ্নিত নাগরিকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বিচারপতি নিকোলাস ইয়ান গুইলু, উপ-প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান, মামে মানদিয়ায় নিয়াং এবং কিম্বারলি প্রোস্ট। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বিচারপতি গুইলুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদনের কারণে। অপরদিকে, কিম্বারলি প্রোস্টকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে আফগানিস্তানে মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুমোদনের জন্য।
ফরাসি নাগরিক গুইলু আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার–১–এর সদস্য, যে চেম্বার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। উপ-প্রসিকিউটর খান ও নিয়াংকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির কথিত ‘অবৈধ কার্যক্রম’ সমর্থন এবং ইসরায়েলি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পরোয়ানা বহাল রাখার পক্ষে ভূমিকা রাখার কারণে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৪২০৩’-এর আওতায়, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির ‘অপকারী পদক্ষেপ’ ঠেকাতে প্রণয়ন করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অভিযোগ করেছেন, এই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের নাগরিকদের সম্মতি ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত, গ্রেপ্তার, আটক বা বিচার কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করেছেন।
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো সম্পদ ও আর্থিক স্বার্থ অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি, তারা যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারের মালিক হন, তবে সেটিও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
আইসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো আইসিসির সদস্য নয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে আইসিসি ও প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছিল।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।