ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের নির্দেশ ট্রাম্পের

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, কুক বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য লিসা কুককে তৎক্ষণাৎ পদ থেকে সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তার চলমান বিরোধে এটি বড় ধরনের উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার রাতে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ কুককে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কুক বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন এবং সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে অবিলম্বে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কুক কিংবা ফেডারেল রিজার্ভ এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প ফেডের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করেছেন, বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে লক্ষ্য করে। তার অভিযোগ, ফেড সুদের হার কমাতে অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি তিনি একাধিকবার পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

    তবে লিসা কুককে অপসারণের ঘটনা নজিরবিহীন। ১১১ বছরের ইতিহাসে এর আগে কখনো ফেড বোর্ডের কোনো সদস্যকে এইভাবে পদচ্যুত করা হয়নি। কুক ছিলেন সাত সদস্যের একজন এবং এই পদে থাকা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত আদালতে আইনি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। হোয়াইট হাউসকে প্রমাণ করতে হতে পারে যে অপসারণের যথেষ্ট কারণ ছিল।

    ট্রাম্প তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, কুক মিশিগানে একটি বাড়িকে নিজের প্রধান আবাস হিসেবে উল্লেখ করে নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহ পর জর্জিয়ায় আরেকটি সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই ঘোষণা দিয়ে নথি জমা দেন। ট্রাম্প লেখেন, “প্রথম প্রতিশ্রুতির পর দ্বিতীয় নথিতে স্বাক্ষরের সময় আপনি তা জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

    এর আগে গত সপ্তাহেই ট্রাম্প তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এই অভিযোগ প্রথমে সামনে আনেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং হাউজিং ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রক বিল পুলটে। তিনি এটিকে ‘অপরাধমূলক রেফারেল’ আখ্যা দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডিকে চিঠি পাঠান এবং ন্যায়বিচার বিভাগকে তদন্ত শুরুর আহ্বান জানান। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের নির্দেশ ট্রাম্পের

    আপডেট সময় ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, কুক বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য লিসা কুককে তৎক্ষণাৎ পদ থেকে সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তার চলমান বিরোধে এটি বড় ধরনের উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার রাতে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ কুককে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কুক বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন এবং সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে অবিলম্বে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কুক কিংবা ফেডারেল রিজার্ভ এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প ফেডের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করেছেন, বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে লক্ষ্য করে। তার অভিযোগ, ফেড সুদের হার কমাতে অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি তিনি একাধিকবার পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

    তবে লিসা কুককে অপসারণের ঘটনা নজিরবিহীন। ১১১ বছরের ইতিহাসে এর আগে কখনো ফেড বোর্ডের কোনো সদস্যকে এইভাবে পদচ্যুত করা হয়নি। কুক ছিলেন সাত সদস্যের একজন এবং এই পদে থাকা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত আদালতে আইনি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। হোয়াইট হাউসকে প্রমাণ করতে হতে পারে যে অপসারণের যথেষ্ট কারণ ছিল।

    ট্রাম্প তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, কুক মিশিগানে একটি বাড়িকে নিজের প্রধান আবাস হিসেবে উল্লেখ করে নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহ পর জর্জিয়ায় আরেকটি সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই ঘোষণা দিয়ে নথি জমা দেন। ট্রাম্প লেখেন, “প্রথম প্রতিশ্রুতির পর দ্বিতীয় নথিতে স্বাক্ষরের সময় আপনি তা জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

    এর আগে গত সপ্তাহেই ট্রাম্প তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এই অভিযোগ প্রথমে সামনে আনেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং হাউজিং ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রক বিল পুলটে। তিনি এটিকে ‘অপরাধমূলক রেফারেল’ আখ্যা দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডিকে চিঠি পাঠান এবং ন্যায়বিচার বিভাগকে তদন্ত শুরুর আহ্বান জানান। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।