মহানবীর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ১০:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণই আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ বাণী প্রদান করেন তিনি। আগামীকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে উল্লেখ করেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি দিন। এ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’—সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নবী করিম (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। তিনি দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তিনি মানবজাতিকে অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব, কুসংস্কার ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের আলোর পথে পরিচালিত করেছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য, চারিত্রিক মহিমা, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণাবলির জন্য কুরআনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’—অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করিম (সা.)-এর শিক্ষা ও জীবনাদর্শ যুগে যুগে বিশ্বমানবতার জন্য মুক্তির দিশারী হয়ে পথ দেখাবে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার মাঝে বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুসংহত হোক। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক—এই দোয়া করি। আমিন।