ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

    রাজধানীর মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপি মহাসচিবের নিন্দা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে জনসমক্ষে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    শুক্রবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বর্বরোচিত’ এবং ‘পৈশাচিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়, বরং এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম ব্যর্থতার প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপির নীতি, আদর্শ এবং রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার স্থান কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।”

    মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, “জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পর এই নির্মম ঘটনা দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পায়, তবে বিচারহীনতার যে ভয়াবহ সংস্কৃতি আমাদের সমাজে গড়ে উঠছে, তা আরও অন্ধকারময় হয়ে উঠবে।”

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এই ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিন, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন নির্মম অপরাধ করার সাহস না পায়।” এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা। এখন অপেক্ষা দৃষ্টান্তমূলক বিচারের।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রাজধানীর মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপি মহাসচিবের নিন্দা

    আপডেট সময় ১২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

    রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে জনসমক্ষে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    শুক্রবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বর্বরোচিত’ এবং ‘পৈশাচিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়, বরং এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম ব্যর্থতার প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপির নীতি, আদর্শ এবং রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার স্থান কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।”

    মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, “জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পর এই নির্মম ঘটনা দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পায়, তবে বিচারহীনতার যে ভয়াবহ সংস্কৃতি আমাদের সমাজে গড়ে উঠছে, তা আরও অন্ধকারময় হয়ে উঠবে।”

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এই ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিন, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন নির্মম অপরাধ করার সাহস না পায়।” এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা। এখন অপেক্ষা দৃষ্টান্তমূলক বিচারের।