ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

    রাফায় মানবিক সহায়তার লাইনে ৩৪ জনসহ ইসরায়েলি হামলায় ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সামনে খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ অবস্থায় প্রাণ হারান।

    আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ওই সময় কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি থমকে যায় এবং ইসরায়েলের এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে গাজার সাধারণ জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জোরালো হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফ-এর সামনে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি গুলি চালায়। বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি নাগরিক সামির শাআত বলেন, ওই জায়গাটা রক্তের সাগরে পরিণত হয়েছিল। খাদ্য সহায়তার জন্য যে ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিল মানুষ, সেই ব্যাগই যেন তাদের কাফনের কাপড়ে রূপ নেয়। এটা ছিল এক মৃত্যু-কূপ।

    আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বারবাখ জানান, ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলিতে মানুষজন একে একে নিহত হন। তারা আমাদের প্রতারণা করে মানবিক সহায়তার জন্য আসতে বলেছিল। কিন্তু পরে আমাদের হাঁস-মুরগির মতো গুলি করে হত্যা করে। এটি ছিল ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যা।

    এদিকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই আক্রমণকে ‘মানব হত্যাকেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে বিভিন্ন সংস্থা।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রাফায় মানবিক সহায়তার লাইনে ৩৪ জনসহ ইসরায়েলি হামলায় ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত

    আপডেট সময় ১২:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

    গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সামনে খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ অবস্থায় প্রাণ হারান।

    আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ওই সময় কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি থমকে যায় এবং ইসরায়েলের এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে গাজার সাধারণ জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জোরালো হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফ-এর সামনে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি গুলি চালায়। বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি নাগরিক সামির শাআত বলেন, ওই জায়গাটা রক্তের সাগরে পরিণত হয়েছিল। খাদ্য সহায়তার জন্য যে ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিল মানুষ, সেই ব্যাগই যেন তাদের কাফনের কাপড়ে রূপ নেয়। এটা ছিল এক মৃত্যু-কূপ।

    আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বারবাখ জানান, ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলিতে মানুষজন একে একে নিহত হন। তারা আমাদের প্রতারণা করে মানবিক সহায়তার জন্য আসতে বলেছিল। কিন্তু পরে আমাদের হাঁস-মুরগির মতো গুলি করে হত্যা করে। এটি ছিল ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যা।

    এদিকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই আক্রমণকে ‘মানব হত্যাকেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে বিভিন্ন সংস্থা।