সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ শুনানি ২৬ আগস্ট

- আপডেট সময় ০৬:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা চারটি আবেদনের ওপর আগামী ২৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিচারাধীন রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য উল্লেখ করলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, তারা দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেছিলেন এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে আপিল বিভাগ আগামী ২৬ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব পক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, যাতে তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ব্যবস্থার অধীনে ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হলে আদালত এই সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত ও বৈধ বলে রায় দেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১০ সালে আপিল শুনানি শুরু হলে আটজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন অ্যামিকাস কিউরিদের মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
তবে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। এই রায় প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে রায় পরিবর্তনের অভিযোগ ওঠে। এরপর এই রায়ের ওপর ভিত্তি করে দলীয় সরকারের অধীনে পর পর তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এরপর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি রিভিউ আবেদন করেন। এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীসহ আরও দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়। এ নিয়ে মোট চারটি আবেদনের শুনানি হবে।