সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক

- আপডেট সময় ১১:৫১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এতে ইউরোপের কয়েকজন নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এই খবর জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর এটিই ছিল দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম বৈঠক। ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘উষ্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন, অন্যদিকে পুতিনের মতো এটি ‘খোলামেলা’ ও ‘গঠনমূলক’ ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। উভয় নেতাই আশা প্রকাশ করেছেন যে এই বৈঠক ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে অগ্রগতি আনতে পারবে।
শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয় যে ট্রাম্প সোমবার জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং বৈঠকে ‘ইউরোপীয় নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে’। তবে কোন কোন ইউরোপীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প সম্ভবত জেলেনস্কির কাছে একটি চুক্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে তার পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলের যেসব এলাকা রাশিয়া নিজেদের বলে ঘোষণা করেছে, তা মেনে নিতে হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া অন্যান্য সীমান্তে চলমান সংঘাত বন্ধ করবে। তবে জেলেনস্কি ইতোমধ্যে বারবার বলেছেন যে তিনি রাশিয়ার কাছে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেবেন না এবং হারানো সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা হবে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে তারা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপের সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে বসার ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তুত’ আছেন।
আলাস্কার বৈঠকের পর ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছিলেন, পুতিন, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো আলোচনা করেনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় সমর্থকদের উচিত তাদের ‘কাজ দেখাতে’ না পারলে ‘চুপ থাকা’ এবং ওয়াশিংটনের কাছে দাবি-দাওয়া হাজির করা বন্ধ করা।