ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

    ২০০ রানও করতে পারল না বাংলাদেশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
    • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে

    ভক্ত-সমর্থকদের কেউ কেউ মনে করছেন, নিজেদের পরিসংখ্যানটা খানিক বাড়িয়ে নিতেই জিম্বাবুয়েকে সিরিজ খেলার নিমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভক্তদের সেই ধারণা সত্যি হলেও ক্রিকেটারদের সম্ভাব্য আকাঙ্ক্ষা আর পূর্ণ হলো কোথায়?

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। খেলতে পেরেছে ৬১ ওভার। তৃতীয় সেশনে মাত্র ১১ ওভারের খেলা হয়েছে। মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউ রান পাননি।

    দিনের দ্বিতীয় সেশনে যেন একেবারেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১২৩ রানে ছিল তিন উইকেট। হঠাৎ খেই হারিয়ে ১৪৬ রানে পতন হয়েছে ৭ উইকেটের। বিরতি দিয়ে বাকিরাও ফেরেন সাজঘরে।

    রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বল ব্যাটে আসছে, সেটিও বোঝা যায়। দু-তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এবং উইকেটে সেটও হন তারা। তবে টিকতে পারেননি দুজনের কেউই। আউট হন মাত্র ১ রানের ব্যবধানে।

    দলীয় ৩১ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে পেসার ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিভারিতে ব্যাটের বাইরের কাণায় বল ছুঁইয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ হন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

    এক রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার জয়ও। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে তাকেও ফেরান নুয়াইসি। সাদমানের মতো জয়ও ব্যাটের বাইরের কাণায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। অর্থাৎ দলীয় ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।

    ১৮ বলে মাত্র চার রান করে ফেরেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

    মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুমিনুলও। মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি করে নেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৫ বলে ৫৬ রান (৮ চার ও ১ ছক্কা) করেন তিনি।

    নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ হন মুজারাবানির শিকার। চার বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী। দলীয় ১৩৭ রানে পতন হয় ৬ উইকেটের।

    আট নম্বর ব্যাটার তাইজুল ইসলাম টেকেন ১৯ বল। তবে রান করেন মাত্র ৩। তিনিও হন মাসাকাদজার শিকার। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল। ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি করেন জাকের আলী অনিক। ৩০ বলে ১৯ রান করে হাসান মাহমুদ আউট হলে জুটি ভাঙে। পরে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন জাকের আলী। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।

    ৬১তম ওভারের শেষ বলে সর্বশেষ ব্যাটার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। এতে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

    জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। দুটি করে উইকেট নেন ভিক্টর নুয়াইসি ও ওয়েসলি মাধেভেরে।

     

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ২০০ রানও করতে পারল না বাংলাদেশ

    আপডেট সময় ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

    ভক্ত-সমর্থকদের কেউ কেউ মনে করছেন, নিজেদের পরিসংখ্যানটা খানিক বাড়িয়ে নিতেই জিম্বাবুয়েকে সিরিজ খেলার নিমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভক্তদের সেই ধারণা সত্যি হলেও ক্রিকেটারদের সম্ভাব্য আকাঙ্ক্ষা আর পূর্ণ হলো কোথায়?

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। খেলতে পেরেছে ৬১ ওভার। তৃতীয় সেশনে মাত্র ১১ ওভারের খেলা হয়েছে। মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউ রান পাননি।

    দিনের দ্বিতীয় সেশনে যেন একেবারেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১২৩ রানে ছিল তিন উইকেট। হঠাৎ খেই হারিয়ে ১৪৬ রানে পতন হয়েছে ৭ উইকেটের। বিরতি দিয়ে বাকিরাও ফেরেন সাজঘরে।

    রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বল ব্যাটে আসছে, সেটিও বোঝা যায়। দু-তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এবং উইকেটে সেটও হন তারা। তবে টিকতে পারেননি দুজনের কেউই। আউট হন মাত্র ১ রানের ব্যবধানে।

    দলীয় ৩১ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে পেসার ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিভারিতে ব্যাটের বাইরের কাণায় বল ছুঁইয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ হন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

    এক রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার জয়ও। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে তাকেও ফেরান নুয়াইসি। সাদমানের মতো জয়ও ব্যাটের বাইরের কাণায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। অর্থাৎ দলীয় ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।

    ১৮ বলে মাত্র চার রান করে ফেরেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

    মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুমিনুলও। মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি করে নেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৫ বলে ৫৬ রান (৮ চার ও ১ ছক্কা) করেন তিনি।

    নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ হন মুজারাবানির শিকার। চার বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী। দলীয় ১৩৭ রানে পতন হয় ৬ উইকেটের।

    আট নম্বর ব্যাটার তাইজুল ইসলাম টেকেন ১৯ বল। তবে রান করেন মাত্র ৩। তিনিও হন মাসাকাদজার শিকার। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল। ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি করেন জাকের আলী অনিক। ৩০ বলে ১৯ রান করে হাসান মাহমুদ আউট হলে জুটি ভাঙে। পরে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন জাকের আলী। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।

    ৬১তম ওভারের শেষ বলে সর্বশেষ ব্যাটার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। এতে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

    জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। দুটি করে উইকেট নেন ভিক্টর নুয়াইসি ও ওয়েসলি মাধেভেরে।