আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন-প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০১:১৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ড. ইউনূস জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হবে যাতে তিনি রমজান শুরু হওয়ার আগেই, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক। সরকার তার পক্ষে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।”
নির্বাচনকে ঘিরে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা চাই এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকুক—আনন্দ, সৌহার্দ্য, ভোটার উপস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।” তিনি ঘোষণা করেন, আগামীকাল থেকেই নির্বাচন ঘিরে মানসিক প্রস্তুতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু হবে।
ভাষণে প্রবাসী ও নারী ভোটারদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের রেমিট্যান্সযোদ্ধারা—যারা দেশের অর্থনীতিকে টেনে তুলেছে—তারা যেন ভোট দিতে পারেন। একইসঙ্গে, নারী ভোটারদের অংশগ্রহণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিশ্চিত করা হবে। আমরা চাই, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের ঢল নামে।”
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে দেশের নাগরিকরা প্রকৃত অর্থে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এবারের নির্বাচন যেন বকেয়া আনন্দসহ ‘মহাআনন্দে’ রূপ নেয়। অনেকেই আছেন যারা ভোট দেওয়ার বয়সে পৌঁছেও আগে কখনো ভোট দিতে পারেননি। এবার তারা এই সুযোগ পাবেন, এবং আমরা চাই তারা সেই দিনটিকে জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তে পরিণত করুক।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিনটিকে আমরা ‘ঈদের উৎসবের’ মতো উদযাপন করতে চাই। সবাই যেন পরিবারের ছোট-বড় সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে যান। এটাই হবে নাগরিক অধিকার চর্চার একটি মহোৎসব।” ভাষণের শেষাংশে ড. ইউনূস দেশবাসীকে আহ্বান জানান—এখন থেকেই যেন জনগণ আলোচনা শুরু করে কেমন ভোটকেন্দ্র হলে তা সুন্দর, নিরাপদ ও আনন্দমুখর হয়। তার মতে, এই নির্বাচনই হবে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি রচনার প্রথম ধাপ।