ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

    আবারও যুবরাজ সিংয়ের বাবার বিস্ফোরক মন্তব্য

    স্পোর্টস ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
    • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

    ভারত ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। বিশ্বজয়ের পরবর্তী দুই বছর বেশ অশান্তিপূর্ণ ছিল দেশটির ক্রিকেটাঙ্গন। অনেক কিছুরই তখন পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ভারত তখন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ০-৪ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেয়।

    এমনকি সেসময় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতেও একমত হয়েছিলেন নির্বাচকরা। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার মোহিন্দর অমরনাথ সেই নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

    এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অমরনাথ ও তৎকালীন নির্বাচকদের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং।

    যোগরাজ বিসিসিআই নির্বাচকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা কোনো কারণ ছাড়াই এই ছেলেদের ধ্বংস করে দিয়েছিলে। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জহির খান, মোহাম্মদ কাইফ, ভিভিএস লক্ষণ, রাহুল দ্রাবিড় এই ছেলেদের দলে রেখে আরও কিছু বছর খেলা যেত। কিন্তু বিশ্বকাপের পর তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল।

    তিনি আরও বলেন, ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর তোমরা পুরো টিমটাই ধ্বংস করে দিয়েছিলে। সাতজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই কারণেই আমরা পরে এতো কষ্ট করেছি।

    সে সময় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হারে ভারত। এরপর ধীরে ধীরে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যেতে থাকেন গম্ভীর, যুবরাজ, হরভজন ও জহির খান। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দ্রাবিড় ও লক্ষণ অবসর নেন।

    গম্ভীর, যুবরাজ, জহির ও হরভজন ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। এই প্রেক্ষাপটে মোহিন্দর অমরনাথের দিকেও তীব্র অভিযোগ তোলেন যোগরাজ সিং।

    তিনি বলেন, আমরা তখন একের পর এক পাঁচটা সিরিজ হারছিলাম, তখন ধোনিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এভাবে কাউকে সরানো যায় না।

    অমরনাথ পরে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ধোনিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন. শ্রীনিবাসনের হস্তক্ষেপে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

    ২০১২ সালে সিএনএন-আইবিএন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমরনাথ বলেন, যখন আপনি কাউকে সম্মান করেন, তখন আপনি প্রশ্ন করেন না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, যদি একটি নির্বাচক কমিটি থাকে যারা ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোটা চায়, তাহলে তাদের কেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে না?

    বিসিসিআই নির্বাচক কমিটিতে অমরনাথ মাত্র এক বছর ছিলেন। কিন্তু ধোনি ২০১৪ সালের শেষ দিকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হন বিরাট কোহলি।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    আবারও যুবরাজ সিংয়ের বাবার বিস্ফোরক মন্তব্য

    আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

    ভারত ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। বিশ্বজয়ের পরবর্তী দুই বছর বেশ অশান্তিপূর্ণ ছিল দেশটির ক্রিকেটাঙ্গন। অনেক কিছুরই তখন পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ভারত তখন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ০-৪ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেয়।

    এমনকি সেসময় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতেও একমত হয়েছিলেন নির্বাচকরা। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার মোহিন্দর অমরনাথ সেই নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

    এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অমরনাথ ও তৎকালীন নির্বাচকদের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং।

    যোগরাজ বিসিসিআই নির্বাচকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা কোনো কারণ ছাড়াই এই ছেলেদের ধ্বংস করে দিয়েছিলে। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জহির খান, মোহাম্মদ কাইফ, ভিভিএস লক্ষণ, রাহুল দ্রাবিড় এই ছেলেদের দলে রেখে আরও কিছু বছর খেলা যেত। কিন্তু বিশ্বকাপের পর তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল।

    তিনি আরও বলেন, ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর তোমরা পুরো টিমটাই ধ্বংস করে দিয়েছিলে। সাতজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই কারণেই আমরা পরে এতো কষ্ট করেছি।

    সে সময় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হারে ভারত। এরপর ধীরে ধীরে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যেতে থাকেন গম্ভীর, যুবরাজ, হরভজন ও জহির খান। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে দ্রাবিড় ও লক্ষণ অবসর নেন।

    গম্ভীর, যুবরাজ, জহির ও হরভজন ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। এই প্রেক্ষাপটে মোহিন্দর অমরনাথের দিকেও তীব্র অভিযোগ তোলেন যোগরাজ সিং।

    তিনি বলেন, আমরা তখন একের পর এক পাঁচটা সিরিজ হারছিলাম, তখন ধোনিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এভাবে কাউকে সরানো যায় না।

    অমরনাথ পরে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ধোনিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন. শ্রীনিবাসনের হস্তক্ষেপে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

    ২০১২ সালে সিএনএন-আইবিএন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমরনাথ বলেন, যখন আপনি কাউকে সম্মান করেন, তখন আপনি প্রশ্ন করেন না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, যদি একটি নির্বাচক কমিটি থাকে যারা ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোটা চায়, তাহলে তাদের কেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে না?

    বিসিসিআই নির্বাচক কমিটিতে অমরনাথ মাত্র এক বছর ছিলেন। কিন্তু ধোনি ২০১৪ সালের শেষ দিকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলেন। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হন বিরাট কোহলি।