ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

    আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, মনে হয় না চীন তাইওয়ানে আক্রমণ চালাবে-ট্রাম্প

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। রাষ্ট্রীয় নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের একীকরণ। প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেও সেটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত বেইজিং।

    তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই তাইওয়ান দখল করছে না চীন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে বলেছেন, “আপনি ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি তাইওয়ানে আক্রমণ করব না।” জবাবে ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে শি আরও যোগ করেছিলেন, “মনে রাখবেন, আমার ধৈর্য অনেক, আর চীনও যথেষ্ট ধৈর্যশীল।”

    এর আগে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় না থাকলে এতদিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন পুরোপুরি দখল করে নিতেন। তার মতে, চীনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই পরিস্থিতি ঘটেছে।

    দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গত জুনে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম নিশ্চিত ফোনালাপ হয়। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীন ও তাইওয়ানকে ঘিরে আমরা প্রায় একই অবস্থায় আছি। আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, মনে হয় না বেইজিং তাইওয়ানে আক্রমণ চালাবে।”

    তাইওয়ানের অন্যতম আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো তাদের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ওয়াশিংটনের।

    এদিকে গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ইস্যু হচ্ছে তাইওয়ান। তারা বলেছে, হোয়াইট হাউসের উচিত এক-চীন নীতি এবং বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে হওয়া তিনটি যৌথ বিবৃতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা। পাশাপাশি তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে সামলাতে হবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, মনে হয় না চীন তাইওয়ানে আক্রমণ চালাবে-ট্রাম্প

    আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

    গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। রাষ্ট্রীয় নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের একীকরণ। প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেও সেটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত বেইজিং।

    তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই তাইওয়ান দখল করছে না চীন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে বলেছেন, “আপনি ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি তাইওয়ানে আক্রমণ করব না।” জবাবে ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে শি আরও যোগ করেছিলেন, “মনে রাখবেন, আমার ধৈর্য অনেক, আর চীনও যথেষ্ট ধৈর্যশীল।”

    এর আগে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় না থাকলে এতদিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন পুরোপুরি দখল করে নিতেন। তার মতে, চীনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই পরিস্থিতি ঘটেছে।

    দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গত জুনে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম নিশ্চিত ফোনালাপ হয়। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীন ও তাইওয়ানকে ঘিরে আমরা প্রায় একই অবস্থায় আছি। আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, মনে হয় না বেইজিং তাইওয়ানে আক্রমণ চালাবে।”

    তাইওয়ানের অন্যতম আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো তাদের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ওয়াশিংটনের।

    এদিকে গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ইস্যু হচ্ছে তাইওয়ান। তারা বলেছে, হোয়াইট হাউসের উচিত এক-চীন নীতি এবং বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে হওয়া তিনটি যৌথ বিবৃতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা। পাশাপাশি তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে সামলাতে হবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।