ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

    ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন হামলা, এক লাখেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০১:১৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

    সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো অবসান দেখা যাচ্ছে না। বরং সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। সর্বশেষ রাশিয়া ইউক্রেনে ভয়াবহ একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এ হামলার ফলে এক লাখেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি জানান, এই হামলার প্রভাব পড়েছে পলতাভা, সুমি ও চেরনিহিভ অঞ্চলে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

    ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মতে, মস্কোর এই হামলা শীতের আগে বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের ধারাবাহিক নীতির অংশ। জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়া এক রাতেই প্রায় ১০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হলেও খারকিভ অঞ্চলের একটি স্কুল এবং খেরসনের একটি উঁচু ভবনও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাশিয়াকে থামাতে এবং প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন ধরনের চাপ প্রয়োজন। আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে মিলে সেই চাপ তৈরির কাজ করছি।”

    অন্যদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের এক সামরিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, প্রথমবারের মতো রুশ সেনারা দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে ওই অগ্রযাত্রা প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও মস্কো এখনও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ককে নিজেদের দাবি করেনি, তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্কসহ চারটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

    রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানায়, তাদের বাহিনী দোনেৎস্কের একটি গ্রাম দখল করেছে। প্রচুর হতাহতের মুখে পড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলে রাশিয়া কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন হামলা, এক লাখেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন

    আপডেট সময় ০১:১৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

    সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো অবসান দেখা যাচ্ছে না। বরং সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। সর্বশেষ রাশিয়া ইউক্রেনে ভয়াবহ একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এ হামলার ফলে এক লাখেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি জানান, এই হামলার প্রভাব পড়েছে পলতাভা, সুমি ও চেরনিহিভ অঞ্চলে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

    ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মতে, মস্কোর এই হামলা শীতের আগে বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের ধারাবাহিক নীতির অংশ। জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়া এক রাতেই প্রায় ১০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হলেও খারকিভ অঞ্চলের একটি স্কুল এবং খেরসনের একটি উঁচু ভবনও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাশিয়াকে থামাতে এবং প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন ধরনের চাপ প্রয়োজন। আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে মিলে সেই চাপ তৈরির কাজ করছি।”

    অন্যদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের এক সামরিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, প্রথমবারের মতো রুশ সেনারা দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে ওই অগ্রযাত্রা প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও মস্কো এখনও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ককে নিজেদের দাবি করেনি, তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্কসহ চারটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

    রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানায়, তাদের বাহিনী দোনেৎস্কের একটি গ্রাম দখল করেছে। প্রচুর হতাহতের মুখে পড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলে রাশিয়া কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে।