ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

    ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ১৫ আগস্ট আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ইস্যুতে বহুল প্রতীক্ষিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বার্তায় ট্রাম্প নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকটি হবে আগামী ১৫ আগস্টে, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে।” এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কিছু অঞ্চল বিনিময় হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

    ট্রাম্পের ঘোষণার পর রাশিয়াও বৈঠকের সময় ও স্থান নিয়ে সম্মতি জানায়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যে সময় ও স্থান নির্ধারণ করেছেন, তা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।” রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউরি উশাকভ টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানান, “আসন্ন বৈঠকে নিঃসন্দেহে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘস্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।” পাশাপাশি তিনি ট্রাম্পকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত হবো যদি দুই দেশের প্রেসিডেন্টের পরবর্তী বৈঠক রাশিয়ায় হয়।”

    উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি এবং ন্যাটো সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও তিনি নিজের শর্তে অনড় থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি। প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের বৈঠকের জন্যও একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির অনাগ্রহে তা সম্ভব হয়নি।

    গত মে মাস থেকে তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি পর্যায়ের শান্তি সংলাপ শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে তৃতীয় দফায় চলছে। গত তিন মাস ধরে চলমান এ সংলাপে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে দুই দেশ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    পুতিন ও ট্রাম্পের সর্বশেষ মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে, যখন ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আগামী ১৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো পুতিনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও গত আট মাসে দুই নেতার মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ১৫ আগস্ট আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠক

    আপডেট সময় ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ইস্যুতে বহুল প্রতীক্ষিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বার্তায় ট্রাম্প নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকটি হবে আগামী ১৫ আগস্টে, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে।” এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কিছু অঞ্চল বিনিময় হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

    ট্রাম্পের ঘোষণার পর রাশিয়াও বৈঠকের সময় ও স্থান নিয়ে সম্মতি জানায়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যে সময় ও স্থান নির্ধারণ করেছেন, তা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।” রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউরি উশাকভ টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানান, “আসন্ন বৈঠকে নিঃসন্দেহে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘস্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।” পাশাপাশি তিনি ট্রাম্পকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত হবো যদি দুই দেশের প্রেসিডেন্টের পরবর্তী বৈঠক রাশিয়ায় হয়।”

    উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি এবং ন্যাটো সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও তিনি নিজের শর্তে অনড় থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি। প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের বৈঠকের জন্যও একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির অনাগ্রহে তা সম্ভব হয়নি।

    গত মে মাস থেকে তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি পর্যায়ের শান্তি সংলাপ শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে তৃতীয় দফায় চলছে। গত তিন মাস ধরে চলমান এ সংলাপে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে দুই দেশ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    পুতিন ও ট্রাম্পের সর্বশেষ মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে, যখন ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আগামী ১৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো পুতিনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও গত আট মাসে দুই নেতার মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে।