তালিস, ইন্দোনেশিয়া – ২০ জুলাই ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা: ২৮০ যাত্রীর মধ্যে ৫ জন নিহত, অনেকে প্রাণে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ

- আপডেট সময় ০১:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের উপকূলে একটি যাত্রীবাহী ফেরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। ফেরিটি যখন মানাডো বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল, তখন তালিস দ্বীপের কাছে আগুন লাগে। এ সময় ফেরিটিতে প্রায় ২৮০ জন যাত্রী ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী (বাকামলা) জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে ২৮৪ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।” দুপুর ১:৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ‘কেএম বার্সেলোনা ৫’ নামের ফেরিটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ফেরিটির উপরের ডেক থেকে দেখা যায়। যাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লাইফ জ্যাকেট পরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন তারা।
একজন যাত্রী আব্দুল রহমাদ আগু ফেসবুক লাইভে ঘটনার ভিডিও প্রচার করেন। ভিডিওতে তাকে একটি শিশুকে কোলে নিয়ে পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওতে আব্দুল বলেন, “সাহায্য করুন! কেএম বার্সেলোনা ভি আগুনে পুড়ছে। এখনও অনেক মানুষ ভেতরে আটকে আছে। আমরা সমুদ্রে পুড়ছি… দ্রুত সাহায্য দরকার!”
আরেক যাত্রী আলউইনা ইনাং, যিনি পুলিশ কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান এম-এর স্ত্রী, জানান, “রাত ১২টার দিকে হঠাৎ একজন চিৎকার করে জানায় যে ফেরির পেছনে আগুন লেগেছে। মুহূর্তেই চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমি ও আমার পরিবার তখনই সমুদ্রে ঝাঁপ দেই।”
ফেরিটি তালাউড দ্বীপপুঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং গন্তব্য ছিল মানাডো বন্দর। ঝড়ের কারণে পূর্বের যাত্রা বিলম্বিত হওয়ায় যান্ত্রিক বা পরিচালনাগত ত্রুটির বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, জ্বালানির লিক কিংবা ইঞ্জিনের ত্রুটি— এসব সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতা চলমান এবং বাকামলা ও মানাডো রেসকিউ টিম জানিয়েছে, তারা এখনও নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।