ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে সুফি কবি ও গীতিকার এনামূল হক পলাশের নতুন গান ‘মন আমার মোচড় মারে’। গত শুক্রবার (৬ জুন) রাতে অনলাইন প্লাটফর্ম ইউটিউবে ‘কবি এনামূল হক পলাশ Poet Enamul Haque Palash’ নামের একটি চ্যানেলে গানটি মুক্তি দেওয়া হয়।

‘মন আমার মোচড় মারে, তোমারে দেখিবার পরে’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ প্রজন্মের শিল্পী জুথি আঁখি এবং সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ।

গীতিকার এনামূল হক বলেন, এটি মূলত একটি আধুনিক গান। আমাদের জীবনের চরম এবং চিরায়ত কথা ও ভাষা এই গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। আশা করি গানটি সব ধরনের শ্রোতার ভালো লাগবে।

গানটির শিল্পী জুথি আঁখি বলেন, সুফি কবি এনামূল হক পলাশের লিরিক একদম অন্যরকম ঘরানার। তার মৌলিক গানটি গাইতে পেরে আমার ভালো লেগেছে।

গানটির সুরকার সুমন কল্যাণ বলেন, এনামূল হক পলাশকে আমি সুফি কবি ভাই বলে ডাকি। তার সাধারণ কথাগুলো মিউজিকে অসাধারণ হয়ে উঠে। দিনশেষে আমাদের মনের গভীরের ভাষাগুলো অবলীলায় সুর হয়ে উঠেছে এই গানে।

ই-মিউজিক প্রোডাকশন হাউজের উদ্যোগে গানটির লাইন প্রযোজকের কাজ করেছেন জুয়েল আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফি করেন দীপু ইসলাম, ভিডিও এডিটিং করেন আশফাকুর রহমান এবং ভিডিও ডিটেকটর হিসেবে কাজ করেছেন ইয়ামিন ইলান।

এনামূল হক পলাশের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি বাংলা ভাষার সহজিয়া ধারার একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, শিশু সাহিত্যিক ও গীতিকার।

‘অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই’, ‘জীবন এক মায়াবী ভ্রমণ’, ‘অন্ধ সময়ের ডানা’ ‘পলায়নের আগেসহ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৪টি। তিনি ‘গণতন্ত্রের গান’, বাউলজন্মের গান’ ‘রাত্রির গানসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের গীতিকার। তিনি ‘অন্তরাশ্রম’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং একই নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালনা করেন।

ইতিপূর্বে তিনি যে আমারে ভালোবাসে, আগুনের গান, রশিক হাওয়া, নয়া পানির তিতনা পুটি, শুন্য বোতল, সাদাকালো জীবন, পেঁচিয়ে থাকা দড়ি, কেমন করে সাধু হব, একটি তারেই মুনতাহাতে, আমারে বনবাসে রাইখ্যা বন্ধু, ভালো আমি বাসলাম যারে, ঈদের গানসহ অনেক জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন।

এর মধ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লিখে প্রচার করেছেন রাত্রির গান, গণতন্ত্রের গান, আগুনের গান।

কবি এনামূল হক পলাশ বাংলা ভাষার সহজিয়া ধারার একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি, ভাবুক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, শিশু সাহিত্যিক ও গীতিকার। তিনি বামপন্থী বিপ্লবী রাজনৈতিক ধারার একজন কর্মী ছিলেন। তিনি অন্তরাশ্রম নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং একই নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালনা করেন। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে তিনি ছিলেন একজন সামনের সাড়ির যোদ্ধা।