উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিগত সম্মতি

- আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল। তবে যেসব উপজেলা জেলা সদর থেকে খুব কাছাকাছি, সেখানে নতুন করে আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক সংলাপে এসব মত উঠে আসে। সংলাপে কমিশনের পক্ষ থেকে আদালত সম্প্রসারণে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান, জেলা সদর থেকে দূরত্ব, যাতায়াতব্যবস্থা, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও মামলার চাপ বিবেচনায় নিয়ে কোথায় স্থায়ী আদালত স্থাপন প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত রয়েছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হয়। কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, এসব আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা উচিত, তবে প্রয়োজনে নতুন করে পুনর্বিন্যাস করাও হতে পারে। একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে কোনো একটি উপজেলায় আদালত স্থাপন করার প্রয়োজন হলে, বাস্তবতা অনুযায়ী সে ব্যবস্থাও গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের প্রস্তাবে আরও বলা হয়: উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে হবে। সিনিয়র সহকারী জজদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আরও বাস্তবসম্মত করতে হবে। আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে।
কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, এই আদালত সম্প্রসারণ আগামী কত বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে, তার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।