ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

    এআই অপব্যবহার রোধে কানাডার সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিজ্ঞ। তাই আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।” সিইসি জানান, বৈঠকে প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চায়। জবাবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশে ব্যাপকভাবে ভোটার সচেতনতা এবং ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগে কানাডা সহযোগিতার আগ্রহ দেখিয়েছে। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ এবং পার্বত্য এলাকায় ভোটার সচেতনতা কার্যক্রম নিয়েও কানাডা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান সিইসি।

    ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা বা নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে সিইসি বলেন, “হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঠিক হয়েছে কি না। আমি বলেছি, ‘না’। আপনারা যা জানেন, আমিও তাই জানি। যেদিন ভোট হবে, তার দুই মাস আগে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

    বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২৮টি দেশের পর্যবেক্ষকদের সমন্বয় করে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষক অনুমোদনের নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

    তবে, তিনি স্পষ্ট করে জানান—যেসব পর্যবেক্ষক আগের তিনটি নির্বাচনকে “সুন্দর” ও “বিশ্বাসযোগ্য” বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিল, তাদের এবার অনুমোদন দেওয়া হবে না। তার ভাষায়, “আমরা তাদের (পর্যবেক্ষক) নেব যারা অভিজ্ঞ, নির্ভরযোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। আগের তিনটি নির্বাচন যাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল, তাদের গ্রহণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    এআই অপব্যবহার রোধে কানাডার সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন

    আপডেট সময় ০৪:০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিজ্ঞ। তাই আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।” সিইসি জানান, বৈঠকে প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চায়। জবাবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশে ব্যাপকভাবে ভোটার সচেতনতা এবং ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগে কানাডা সহযোগিতার আগ্রহ দেখিয়েছে। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ এবং পার্বত্য এলাকায় ভোটার সচেতনতা কার্যক্রম নিয়েও কানাডা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান সিইসি।

    ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা বা নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে সিইসি বলেন, “হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঠিক হয়েছে কি না। আমি বলেছি, ‘না’। আপনারা যা জানেন, আমিও তাই জানি। যেদিন ভোট হবে, তার দুই মাস আগে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

    বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২৮টি দেশের পর্যবেক্ষকদের সমন্বয় করে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষক অনুমোদনের নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

    তবে, তিনি স্পষ্ট করে জানান—যেসব পর্যবেক্ষক আগের তিনটি নির্বাচনকে “সুন্দর” ও “বিশ্বাসযোগ্য” বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিল, তাদের এবার অনুমোদন দেওয়া হবে না। তার ভাষায়, “আমরা তাদের (পর্যবেক্ষক) নেব যারা অভিজ্ঞ, নির্ভরযোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। আগের তিনটি নির্বাচন যাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল, তাদের গ্রহণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”