ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    এক জালে ৬১ মণ ইলিশ, নিলামে বিক্রি ৩৩ লাখ টাকায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটার অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এক ট্রলারের জালে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ট্রলারটি আলীপুর মৎস্যবন্দরে ফিরলে ৬১ মণ ইলিশ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়।

    জেলে আবু সালেহ জানান, ‘এফ বি আল্লাহর দান’ নামের ট্রলারটি গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২২ জন জেলেসহ গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। কুয়াকাটা উপকূল থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গভীর বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলে তাঁরা। শনিবার বিকেলে জাল তোলার সময় দেখা যায়, তাতে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ বড় আকারের ইলিশ।

    মাছভর্তি ট্রলারটি সোমবার বিকেলে আলীপুর বন্দরে পৌঁছায়। পরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মার্কেটের মেসার্স খান ফিসের আড়তে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়।

    মেসার্স খান ফিসের ব্যবস্থাপক সাগর মিয়া জানান, মাছগুলোর ওজন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দামে কেনা হয়েছে। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭৩ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫৮ হাজার টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৪ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। এছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কেনা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে মোট ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।

    এর আগে, ৯ জুলাই একই এলাকায় ‘এফ বি সাদিয়া-২’ ট্রলারে ধরা পড়ে ৬৫ মণ ইলিশ, যা বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। মেসার্স খান ফিসের মালিক আবদুর রহিম খান বলেন, “জেলেরা এখন বড় আকৃতির ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। সাম্প্রতিক সময়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সাফল্য ভালো যাচ্ছে।”

    এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “বর্তমানে জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে ভালো পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাছের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    এক জালে ৬১ মণ ইলিশ, নিলামে বিক্রি ৩৩ লাখ টাকায়

    আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটার অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এক ট্রলারের জালে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ট্রলারটি আলীপুর মৎস্যবন্দরে ফিরলে ৬১ মণ ইলিশ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়।

    জেলে আবু সালেহ জানান, ‘এফ বি আল্লাহর দান’ নামের ট্রলারটি গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২২ জন জেলেসহ গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। কুয়াকাটা উপকূল থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গভীর বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলে তাঁরা। শনিবার বিকেলে জাল তোলার সময় দেখা যায়, তাতে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ বড় আকারের ইলিশ।

    মাছভর্তি ট্রলারটি সোমবার বিকেলে আলীপুর বন্দরে পৌঁছায়। পরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মার্কেটের মেসার্স খান ফিসের আড়তে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়।

    মেসার্স খান ফিসের ব্যবস্থাপক সাগর মিয়া জানান, মাছগুলোর ওজন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দামে কেনা হয়েছে। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭৩ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫৮ হাজার টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৪ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। এছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কেনা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে মোট ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।

    এর আগে, ৯ জুলাই একই এলাকায় ‘এফ বি সাদিয়া-২’ ট্রলারে ধরা পড়ে ৬৫ মণ ইলিশ, যা বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। মেসার্স খান ফিসের মালিক আবদুর রহিম খান বলেন, “জেলেরা এখন বড় আকৃতির ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। সাম্প্রতিক সময়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সাফল্য ভালো যাচ্ছে।”

    এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “বর্তমানে জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে ভালো পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাছের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।”