এজবাস্টনে পাগলাটে ইনিংস: ব্রুক-স্মিথের ব্যাটে ভর করে ৪০৭ রানে ইংল্যান্ড

- আপডেট সময় ০১:১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন পাগলাটে ইনিংস খুব কমই দেখা যায়। এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিন শুক্রবার (৪ জুলাই) ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস যেন তারই উদাহরণ। পাঁচজন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হওয়ার পরও দলীয় সংগ্রহ ৪০০ ছাড়িয়ে যায় — ৪০৭ রান! কীভাবে সম্ভব? কারণ ইনিংসে ছিল দুটি ১৫০ রানের বেশি ব্যক্তিগত ইনিংস।
ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাহাড় সমান স্কোরের জবাবে শুরুটা ভয়াবহ ছিল ইংল্যান্ডের। মাত্র ১৩ রানে হারায় দুই উইকেট, আর ২৫ রানে তিনটি। এরপরও দলটি যে ৪০৭ রানে পৌঁছায়, তার নায়ক দুইজন — হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথ। ষষ্ঠ উইকেটে ৩০৩ রানের বিশাল জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। এ জুটির উপর ভর করেই ইংল্যান্ড স্বস্তির জায়গায় পৌঁছায়। মজার ব্যাপার হলো, ২০০৫ সালে এই একই এজবাস্টন মাঠে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোর ছিল ঠিক ৪০৭ রান—ঠিক ২০ বছর পর আবারও সেই সংখ্যা!
ব্রুক-স্মিথ ছিলেন দুর্দান্ত
জেমি স্মিথ যেন লাল বলে নয়, সাদা বলের মতো আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন। মাত্র ৮০ বলে শতক পূর্ণ করা এই তরুণ ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ইনিংস দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটকিপার হিসেবে টেস্টে ১৫০ বা তার বেশি রানের মালিক হলেন। অন্যদিকে হ্যারি ব্রুক খেলেছেন এক ধীর-স্থির কিন্তু কার্যকর ইনিংস। ১৩৭ বলে শতক পূর্ণ করে তিনি থামেন ১৫৮ রানে। এটি তার ২৭তম টেস্টে নবম সেঞ্চুরি, যা তাকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার বানিয়েছে টেস্টে ৯টি শতক পূরণ করার দিক দিয়ে। তার আগে রয়েছেন কেবল কিংবদন্তি ডেনিস কম্পটন।
এক পর্যায়ে ফলো-অনে পড়ার আশঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ডের জন্য ব্রুক-স্মিথের এই ম্যারাথন জুটি ছিল যেন ত্রাণকর্তা। ৮৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটিকে তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ফিরে আসতে সক্ষম করে। ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত। পরপর দুই বলে জো রুট ও বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সিরাজের শিকার ৬টি উইকেট — যা ভারতের প্রথম ইনিংস বোলিংয়ের অন্যতম বড় দিক হয়ে ওঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
তৃতীয়দিন শেষে
ভারত প্রথম ইনিংস ৫৮৭
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৪০৭
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ৬৪/১