দেশের রাজনীতিতে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ বা এনসিপি। এই নতুন দল গঠন নিয়ে এবার বিস্ফোরক তথ্য দিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি এনসিপি গঠনের পেছনে তিনজনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ থাকার দাবি করেছেন।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশেদ খাঁন জানান, এনসিপি গঠনের মূল হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হলেন নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম, এবং আসিফ মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, “এটি কোনো স্বাভাবিক দল নয়। এই দল সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট দল।” রাশেদের দাবি অনুযায়ী, নাহিদ ইসলাম যখন অন্তর্বর্তী সরকারে ছিলেন, তখনই এনসিপি গঠনের কাজ শুরু হয়। আর মাহফুজ ও আসিফ মাহমুদ এখনও সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। এই তিনজনের মাধ্যমেই দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, নাহিদ ইসলামের মন্ত্রীপাড়ার বাসাতেই এই দল গঠনের সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষকে এই দলে যুক্ত করার জন্য ডাকা হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, রাশেদ খাঁন কীভাবে এই তথ্যগুলো জানলেন?

তার ভাষ্যমতে, এনসিপি গঠনের সঙ্গে জড়িতরা গণঅধিকার পরিষদের কতিপয় নেতাকে প্রলোভন দেখিয়েছিলেন এবং তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।

রাশেদ খাঁন নাহিদ ইসলামের একটি মন্তব্যের বিষয়েও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নাহিদ মিথ্যা কথা বলেছেন যখন তিনি দাবি করেন যে, মাহফুজ ও আসিফ এই দুই উপদেষ্টা এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। রাশেদের মতে, এই দাবিটি মিথ্যা।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও পরিষ্কার করে বলেন, “আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম এখনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তারা এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবেই সরকারে রয়েছেন।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এনসিপি গঠনের আগ পর্যন্ত তারা গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি ছিলেন। এই অভিযোগগুলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। একটি নতুন দল গঠনের পেছনে যদি এমন বিতর্কিত যোগসূত্র থাকে, তাহলে এর ভবিষ্যৎ কী হবে – সেটাই এখন দেখার বিষয়।