ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা, দোষীদের শাস্তির অঙ্গীকার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া এবং হামলার ঘটনা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সরকার এই সহিংসতাকে “সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, তরুণ নাগরিকদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি লজ্জাজনক নজির স্থাপন করা হয়েছে। এনসিপির সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যক্তিগতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস আক্রমণ চালায়।

    সরকার দাবি করেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই এই বর্বর হামলার জন্য দায়ী। তারা যে কোনোভাবেই শাস্তির বাইরে থাকবে না, তা নিশ্চিত করা হবে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের মাটিতে এমন সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। যে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করে আরও বড় ধরনের সংকট এড়াতে সক্ষম হয়েছে।

    এনসিপির নেতাকর্মীদের সাহস ও সহনশীলতার প্রশংসা করে সরকার জানায়, তাদের দৃঢ়তা গণতন্ত্রের পথে চলার সাহস জোগায়। বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলা হয়, “আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই জয়ী হবে এবং হবে।”

    এদিকে, ঘটনার পরপরই গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে জেলা প্রশাসন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ শেষে যখন গাড়িবহর নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন পথ আটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ফের হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা, দোষীদের শাস্তির অঙ্গীকার

    আপডেট সময় ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া এবং হামলার ঘটনা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সরকার এই সহিংসতাকে “সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, তরুণ নাগরিকদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি লজ্জাজনক নজির স্থাপন করা হয়েছে। এনসিপির সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যক্তিগতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস আক্রমণ চালায়।

    সরকার দাবি করেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই এই বর্বর হামলার জন্য দায়ী। তারা যে কোনোভাবেই শাস্তির বাইরে থাকবে না, তা নিশ্চিত করা হবে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের মাটিতে এমন সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। যে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করে আরও বড় ধরনের সংকট এড়াতে সক্ষম হয়েছে।

    এনসিপির নেতাকর্মীদের সাহস ও সহনশীলতার প্রশংসা করে সরকার জানায়, তাদের দৃঢ়তা গণতন্ত্রের পথে চলার সাহস জোগায়। বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলা হয়, “আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই জয়ী হবে এবং হবে।”

    এদিকে, ঘটনার পরপরই গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে জেলা প্রশাসন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ শেষে যখন গাড়িবহর নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন পথ আটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ফের হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।