ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    কক্সবাজারে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজার মরদেহ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা মোহাম্মদ আহনাফের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া সৈকতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। সি-সেইফ লাইফগার্ডের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে গোসলে নামেন আহনাফ। এসময় আরও দুইজন পর্যটক সাগরের পানিতে তলিয়ে গেলেও দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে নিখোঁজ ছিলেন আহনাফ। এরপর ফায়ার সার্ভিস, সি-সেইফ লাইফগার্ড এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাতভর তল্লাশি চালালেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

    কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা দোলন আচার্য্য জানান, সোমবার সকালে সমিতি পাড়া সৈকত থেকে আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
    নিহত আহনাফ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বড় ভাইয়ের ছেলে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারজুড়ে।

    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর পর্যটক আহনাফের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৬টার দিকে সৈকতের সমিতিপাড়া পয়েন্টে আহনাফের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সি সেইফ লাইফগার্ডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    আহনাফ বগুড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে এবং জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা। ঘটনার সময় আরও দুজন ভেসে গিয়েছিলেন, তবে লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। রবিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো. আজিম খান জানান, বগুড়া থেকে সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন আহনাফ। রবিবার দুপুরে গোসল করতে নেমে সাগরে ভেসে যান তিনি। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসন ও লাইফগার্ড যৌথভাবে উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যায়। অবশেষে সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    সি সেইফ লাইভগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গণি জানান, সকালে স্থানীয় পোনা শিকারিরা সৈকতের তীরের কাছে ভাসতে থাকা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা দ্রুত গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
    সি সেইফ লাইফগার্ডের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আহনাফসহ তিন বন্ধু সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলে নামেন। এ সময় তিনজনই ভেসে যায়। তবে লাইফগার্ড কর্মীরা তৎপর হয়ে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করেন, কিন্তু আহনাফ নিখোঁজ ছিলেন। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার অভিযানের পর অবশেষে তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল ইসলাম জানান, আহনাফ বগুড়া থেকে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে, স্বজনরা এর সঙ্গে আছেন। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    কক্সবাজারে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজার মরদেহ উদ্ধার

    আপডেট সময় ০১:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা মোহাম্মদ আহনাফের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া সৈকতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। সি-সেইফ লাইফগার্ডের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে গোসলে নামেন আহনাফ। এসময় আরও দুইজন পর্যটক সাগরের পানিতে তলিয়ে গেলেও দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে নিখোঁজ ছিলেন আহনাফ। এরপর ফায়ার সার্ভিস, সি-সেইফ লাইফগার্ড এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাতভর তল্লাশি চালালেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

    কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা দোলন আচার্য্য জানান, সোমবার সকালে সমিতি পাড়া সৈকত থেকে আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
    নিহত আহনাফ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বড় ভাইয়ের ছেলে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারজুড়ে।

    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর পর্যটক আহনাফের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৬টার দিকে সৈকতের সমিতিপাড়া পয়েন্টে আহনাফের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সি সেইফ লাইফগার্ডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    আহনাফ বগুড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে এবং জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা। ঘটনার সময় আরও দুজন ভেসে গিয়েছিলেন, তবে লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। রবিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার মো. আজিম খান জানান, বগুড়া থেকে সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন আহনাফ। রবিবার দুপুরে গোসল করতে নেমে সাগরে ভেসে যান তিনি। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসন ও লাইফগার্ড যৌথভাবে উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যায়। অবশেষে সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    সি সেইফ লাইভগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গণি জানান, সকালে স্থানীয় পোনা শিকারিরা সৈকতের তীরের কাছে ভাসতে থাকা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা দ্রুত গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
    সি সেইফ লাইফগার্ডের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আহনাফসহ তিন বন্ধু সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলে নামেন। এ সময় তিনজনই ভেসে যায়। তবে লাইফগার্ড কর্মীরা তৎপর হয়ে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করেন, কিন্তু আহনাফ নিখোঁজ ছিলেন। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার অভিযানের পর অবশেষে তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল ইসলাম জানান, আহনাফ বগুড়া থেকে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে, স্বজনরা এর সঙ্গে আছেন। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।