রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঢিল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পেছন থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। অপরদিকে জাতীয় পার্টি পাল্টা অভিযোগ করে জানায়, তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে হামলা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পল্টন মোড়ে মিছিলের পেছনের অংশে আকস্মিক হামলা চালানো হয়। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামন থেকে দুই থেকে তিনশত লোক এ হামলায় অংশ নেয়। হামলাকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকজনও ছিল বলে তিনি দাবি করেন। হানিফ জানান, একপর্যায়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধে নামলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এই মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংঘর্ষে রাশেদ খান আহত হয়েছেন বলে তিনি নিজেই ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী দাবি করেন, গণঅধিকার পরিষদের মিছিল থেকে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রমনা থানার পরিদর্শক আতিকুল আলম খন্দকার জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং সেনা সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।