কারফিউ প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে নেপালের জনজীবন

- আপডেট সময় ০৫:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে
নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফলে বিক্ষোভ, সহিংসতা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশটির জনজীবন।
শনিবার দেশটিতে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়।
দ্য হিমালয়ান টাইমস জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুশীলা কারকি।
তাকে শপথ বাক্য পড়ান প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল।
শপথ গ্রহণের পরপরই সুশীলা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।
গত সোমবার নিবন্ধনহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির সংস্কৃতি দূর করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে কে পি শর্মা অলি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অনেকে হতাহত হন। ফলে বিক্ষোভ বিধ্বংসী রূপ নেয়।
পরবর্তীতে কে পি শর্মা অলি ও তার মন্ত্রীরা পদত্যাগ করে ও আত্মগোপনে চলে যান।
এই সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে পৌঁছায়।
আহত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।
সুশীলা কারকির শপথের পর দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা কমেছে।
শনিবার থেকে কোনো কারফিউ বা চলাচলে বিধিনিষেধ নেই।
দোকানপাট, সবজি বাজার এবং শপিং মল খুলেছে। রাস্তায় গাড়ির চাপও ফের দেখা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সহিংস বিক্ষোভে বহু সরকারি ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, সহিংসতার সময় সাড়ে ১৩ হাজার বন্দি বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।
এর মধ্যে এক হাজারকে ফের গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা এখনো পলাতক।
সুশীলা কারকির শপথের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৫ মার্চ দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।