সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো সিরিজনির্ধারণী ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না জিম্বাবুয়ে। বুলাওয়েতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর কিউই ব্যাটাররা রোডেশিয়ান বোলারদের নাস্তানাবুদ করে রানের পাহাড় গড়েছে। দলীয় সংগ্রহ ছুঁয়েছে ছয়শ পেরিয়ে, আর তাতেই গড়েছে অনন্য বিশ্বরেকর্ড।

দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬০১ রান। ইতোমধ্যে তারা প্রথম ইনিংসে নিয়েছে ৪৭৬ রানের বিশাল লিড, যা ম্যাচের একপেশে চিত্রই স্পষ্ট করছে। এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের দেড়শ পেরোনো ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বারের মতো দেখা গেল। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিল ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) এবং ১৯৮৬ সালে ভারত (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর আবারও এমন রেকর্ড গড়ল কোনো দল।

গতকাল শুক্রবার কিউই ব্যাটারদের সামনে অসহায় ছিলেন ‍জিম্বাবুইয়ান বোলাররা। দলের পক্ষে তিনজন বোলার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন, তবে প্রত্যেকেই দিয়েছেন একশ’র বেশি রান। রানের বন্যা থামাতে মোট সাতজন বোলারকে ব্যবহার করেও সেভাবে সাফল্য মেলেনি।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১৬২ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৭৩ এবং তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় আরও ১১০ রান। দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্র’র জুটি গড়েছেন ২৫৬ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। রাচিন ১৩৯ বলে ২১টি চার ও দুই ছক্কায় ১৬৫ এবং নিকোলস ২৪৫ বলে ১৫টি চারের মারে ১৫০ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

এর আগে ওপেনার কনওয়ে খেলেছেন ২৪৫ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ১৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। তুলনায় ইয়াং ৭৪ ও জ্যাকব ডাফি ৩৬ রানের ইনিংসে থামেন, যা কিউইদের রানের জোয়ারে যেন ক্ষুদ্র উপাখ্যান মাত্র।

এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৭৬ রানের লিড নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ লিডের রেকর্ডটি ২০১৯ সালের হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে, যেখানে তারা এক ইনিংসে ৪৮১ রানের লিড নিয়েছিল।