ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    কুমিল্লায় মা ও মেয়ের রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড, পুলিশ বলছে পরিকল্পিত হত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    কুমিল্লা নগরের ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এবং তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

    আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে নিহতের ছেলে প্রথমে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি টের পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম।

    নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫২) এবং তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৩)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রায় চার বছর ধরে তারা কালিয়াজুরী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তাহমিনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

    নিহতের বড় ছেলে, আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (ফয়সাল) জানান, “রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসায় এসে দেখি দরজা খোলা। একটি টুল দিয়ে দরজা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে লাইট বন্ধ ছিল। লাইট অন করতেই দেখি বোনের কক্ষে তাঁর নিথর দেহ পড়ে আছে এবং মায়ের কক্ষে মায়ের দেহ। আমরা জানি না কে বা কারা আমাদের মা ও বোনকে হত্যা করেছে। সঠিক তদন্ত এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের তেমন কোনো শত্রু ছিল না।”

    পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে নিহত সুমাইয়ার বড় ভাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বাসায় তেমন কিছু খোয়া যায়নি। নিহতদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে এবং মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়া ভবনের নিচতলায় একটি স্কুল ছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”

    ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    কুমিল্লায় মা ও মেয়ের রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড, পুলিশ বলছে পরিকল্পিত হত্যা

    আপডেট সময় ০১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    কুমিল্লা নগরের ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এবং তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

    আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে নিহতের ছেলে প্রথমে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি টের পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম।

    নিহতরা হলেন, কুমিল্লা নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫২) এবং তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৩)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রায় চার বছর ধরে তারা কালিয়াজুরী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তাহমিনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

    নিহতের বড় ছেলে, আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (ফয়সাল) জানান, “রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসায় এসে দেখি দরজা খোলা। একটি টুল দিয়ে দরজা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে লাইট বন্ধ ছিল। লাইট অন করতেই দেখি বোনের কক্ষে তাঁর নিথর দেহ পড়ে আছে এবং মায়ের কক্ষে মায়ের দেহ। আমরা জানি না কে বা কারা আমাদের মা ও বোনকে হত্যা করেছে। সঠিক তদন্ত এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের তেমন কোনো শত্রু ছিল না।”

    পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে নিহত সুমাইয়ার বড় ভাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বাসায় তেমন কিছু খোয়া যায়নি। নিহতদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে এবং মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়া ভবনের নিচতলায় একটি স্কুল ছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”

    ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।