ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    গণভবন রূপান্তর হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’, ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    ছাত্র-জনতার বীরত্বপূর্ণ অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’কে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জাদুঘরে শহিদদের স্মৃতিচিহ্ন, বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রামাণ্য দলিল, নিপীড়নের চিত্র এবং গণআন্দোলনের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।

    আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এ জাদুঘর রূপান্তরের কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে এর ‘সিভিল’ এবং ‘ই/এম’ অংশের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

    সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে জাদুঘরের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল (ই/এম) কাজের জন্য মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্সকে এবং সিভিল কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুটি কাজই হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়।

    জাদুঘর প্রকল্পের সিভিল অংশে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর বাইরে ই/এম অংশে নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য বাকি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর উদ্যোগটি প্রথম অনুমোদন পায় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, গণভবনকে একটি ঐতিহাসিক জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে, যেখানে ছাত্র-জনতার গৌরবময় সংগ্রাম এবং পূর্ববর্তী সরকারের দমনপীড়নের দলিল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

    উল্লেখ্য, জাদুঘরটি আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে। সময়সীমা খুব কম থাকায়, ই/এম অংশের নির্মাণ ও সংস্কার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগকে অনেকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন, যেখানে রাজনৈতিক ইতিহাস সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গণভবন রূপান্তর হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’, ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা

    আপডেট সময় ০২:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    ছাত্র-জনতার বীরত্বপূর্ণ অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’কে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জাদুঘরে শহিদদের স্মৃতিচিহ্ন, বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রামাণ্য দলিল, নিপীড়নের চিত্র এবং গণআন্দোলনের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।

    আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এ জাদুঘর রূপান্তরের কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে এর ‘সিভিল’ এবং ‘ই/এম’ অংশের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

    সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে জাদুঘরের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল (ই/এম) কাজের জন্য মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্সকে এবং সিভিল কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুটি কাজই হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়।

    জাদুঘর প্রকল্পের সিভিল অংশে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর বাইরে ই/এম অংশে নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য বাকি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর উদ্যোগটি প্রথম অনুমোদন পায় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, গণভবনকে একটি ঐতিহাসিক জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে, যেখানে ছাত্র-জনতার গৌরবময় সংগ্রাম এবং পূর্ববর্তী সরকারের দমনপীড়নের দলিল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

    উল্লেখ্য, জাদুঘরটি আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে। সময়সীমা খুব কম থাকায়, ই/এম অংশের নির্মাণ ও সংস্কার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগকে অনেকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন, যেখানে রাজনৈতিক ইতিহাস সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখার প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে।