গাজার বেসামরিকদের দক্ষিণের ‘মানবিক এলাকায় সরে যেতে বলেছ- ইসরায়েল

- আপডেট সময় ০৭:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
গাজা শহরের অধিবাসীদের শহর ছেড়ে দক্ষিণের একটি ‘মানবিক এলাকায়’ সরে যেতে বলেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশ আসে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় নগর কেন্দ্রটি দখল করার জন্য পরিকল্পিত আক্রমণের আগে, জানিয়েছে এএফপি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি। এর আগে তারা ইঙ্গিত দিয়েছিল, অপ্রত্যাশিত আক্রমণের ধারাকে বজায় রাখতে অগ্রিম কোনো নোটিশ দেওয়া হবে না।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচে আদরাই সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাড়াতাড়ি (আল-মাওয়াসি) মানবিক অঞ্চলে চলে যান এবং সেখানে ইতোমধ্যে সেখানে চলে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দিন।” ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল-মাওয়াসিতে ফিল্ড হাসপাতাল, পানির পাইপলাইন, লবণাক্ততা দূরীকরণ সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও সেখানে খাবার, তাঁবু, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বজায় রাখা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সেখানে স্থল অভিযান চালানো হবে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণও অব্যাহত থাকবে। তবে, যুদ্ধের শুরুতে আল-মাওয়াসিকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও সেখানে বারবার হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, বেসামরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
গাজা শহরের বাসিন্দারা শনিবার এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, তাদের থাকা বা পালানোর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। রিমাল এলাকায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া গাজার জাইতুন এলাকার ৪৮ বছর বয়সী আবদেল নাসের মুশতাহা বলেন, “কেউ কেউ বলছে আমাদের চলে যাওয়া উচিত, অন্যরা বলছে আমাদের থাকা উচিত। কিন্তু গাজার সবখানেই চলছে বোমা হামলা আর মৃত্যুর মিছিল। গত দেড় বছর ধরে সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলা এই তথাকথিত মানবিক এলাকা আল-মাওয়াসিতেই হয়েছে। বেসামরিকদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে তারা।”
তার ২০ বছর বয়সী মেয়ে সামিয়া মুশতাহা বলেন, “এখন আমাদের কাছে আর কোনো পার্থক্য তৈরি করে না। আমরা যেখানেই যাই না কেন, মৃত্যু আমাদের পিছু নেয়, তা বোমা হামলায় হোক বা ক্ষুধায়।”