ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

    গাজীপুর আতঙ্কগ্রস্ত,সাত মাসে ১০৩ হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। একদল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে দা ও চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগের দিন, বুধবার বিকেলে নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বেদম মারধরের শিকার হন। তাঁকে প্রকাশ্যে টেনে হিঁচড়ে পিটিয়ে ইট দিয়ে আঘাত করে পা থেঁতলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এই দুই ঘটনার রেশ কাটার আগেই গত শুক্রবার টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে এক যুবকের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনাসমূহ গাজীপুরে ক্রমবর্ধমান অপরাধের মাত্রিক প্রতিফলন। গত সাত মাসে গাজীপুর মহানগর ও জেলায় মোট ১০৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সংঘাত, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, পূর্ব শত্রুতা, জমিজমার বিরোধ এবং পারিবারিক কলহের মতো নানা জটিল কারণ।

    টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, পাশাপাশি প্রকাশ্যে চাপাতি নিয়ে হামলার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গাজীপুরের চৌরাস্তা, চান্দনা, টঙ্গী ও নগরীর কিছু জায়গা অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের থেকে জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ঙ্কর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

    অপরদিকে পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা দুঃসহ রূপ ধারন করেছে। গত শনিবার রাতে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের হত্যা করে, পরে লাশ ঘরের ভেতর রেখে বাইরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে মারুফা প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে পল্লিচিকিৎসক মিজানুর রহমানকে বিয়ে করেছিলেন এবং পারিবারিক কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। তার আগের বুধবার মধ্যরাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে সুইটি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর স্বামী নূরুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে নূরুল ইসলামের দুটি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

    এর আগে ২৮ জুন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে চোর সন্দেহে হৃদয় মিয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ও গভীর বনের মধ্যে প্রায়ই লাশ পাওয়া যায়, যা দেখে মনে হয় খুনিরা লাশ গোপন করার জন্য এসব জায়গাকে নিরাপদ স্থান মনে করে। পুলিশ অনেক লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়, তবে অধিকাংশই বেওয়ারিশ অবস্থায় দাফন করা হয় এবং পরিচয় না পাওয়ায় খুনের শিকারদের শেষকৃত্যেও যথাযথ সম্মান দেওয়া সম্ভব হয় না।

    গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, গত সাত মাসে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া ও সদর থানার এলাকায় মোট ৫৯টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে এবং ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অধিকাংশ হত্যা জমিজমি ও পারিবারিক বিরোধের কারণে ঘটেছে। মাদক ও নারী-সংক্রান্ত বিষয়েও কিছু হত্যা ঘটেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের একটি প্রজন্ম গত ১৭ বছরে নষ্ট হয়েছে, মূল্যবোধহীনতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে অপরাধীরা আইনকে ভয় করছে না।

    গাজীপুর মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরীর আটটি থানায় গত সাত মাসে ৩৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় ১১টি মামলা সর্বাধিক। কাশিমপুরে চারটি, কোনাবাড়ীতে তিনটি, টঙ্গী পশ্চিম থানায় চারটি, টঙ্গী পূর্ব থানায় আটটি, গাছা থানায় দুটি, পুবাইলে দুটি ও বাসন থানায় পাঁচটি হত্যা ঘটেছে।

    সাধারণ মানুষের ওপর ছিনতাইকারীদের হামলা ও খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ১১ জুলাই রাতে টঙ্গীর সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীর হামলায় কলেজ শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তিনি বরিশালের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। ১৭ মে টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীদের হাতে রঞ্জু (৩০) নামের এক যুবক খুন হন। এছাড়া স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতারা বৃদ্ধদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে থাকে।

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক মমিনুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনা সামাজিক অবক্ষয় ও বিচ্যুতির কারণে ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনও ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, যা সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। গাজীপুরে গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যার ঘটনাও বেড়েই চলেছে। ১৮ জুলাই কাপাসিয়ার সেলদিয়া গ্রামে মো. শাহজাহারের ছেলে মো. নূরুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২৭ জুন রাতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসের ভিতরে চোর সন্দেহে মেকানিক মো. হৃদয় (১৯) কে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

    এসব ঘটনায় গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য জরুরি ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গাজীপুর আতঙ্কগ্রস্ত,সাত মাসে ১০৩ হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

    আপডেট সময় ০১:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

    গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। একদল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে দা ও চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগের দিন, বুধবার বিকেলে নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বেদম মারধরের শিকার হন। তাঁকে প্রকাশ্যে টেনে হিঁচড়ে পিটিয়ে ইট দিয়ে আঘাত করে পা থেঁতলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এই দুই ঘটনার রেশ কাটার আগেই গত শুক্রবার টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে এক যুবকের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনাসমূহ গাজীপুরে ক্রমবর্ধমান অপরাধের মাত্রিক প্রতিফলন। গত সাত মাসে গাজীপুর মহানগর ও জেলায় মোট ১০৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সংঘাত, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, পূর্ব শত্রুতা, জমিজমার বিরোধ এবং পারিবারিক কলহের মতো নানা জটিল কারণ।

    টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, পাশাপাশি প্রকাশ্যে চাপাতি নিয়ে হামলার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গাজীপুরের চৌরাস্তা, চান্দনা, টঙ্গী ও নগরীর কিছু জায়গা অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের থেকে জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ঙ্কর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

    অপরদিকে পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা দুঃসহ রূপ ধারন করেছে। গত শনিবার রাতে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের হত্যা করে, পরে লাশ ঘরের ভেতর রেখে বাইরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে মারুফা প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে পল্লিচিকিৎসক মিজানুর রহমানকে বিয়ে করেছিলেন এবং পারিবারিক কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। তার আগের বুধবার মধ্যরাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে সুইটি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর স্বামী নূরুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে নূরুল ইসলামের দুটি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

    এর আগে ২৮ জুন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে চোর সন্দেহে হৃদয় মিয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ও গভীর বনের মধ্যে প্রায়ই লাশ পাওয়া যায়, যা দেখে মনে হয় খুনিরা লাশ গোপন করার জন্য এসব জায়গাকে নিরাপদ স্থান মনে করে। পুলিশ অনেক লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়, তবে অধিকাংশই বেওয়ারিশ অবস্থায় দাফন করা হয় এবং পরিচয় না পাওয়ায় খুনের শিকারদের শেষকৃত্যেও যথাযথ সম্মান দেওয়া সম্ভব হয় না।

    গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, গত সাত মাসে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া ও সদর থানার এলাকায় মোট ৫৯টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে এবং ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অধিকাংশ হত্যা জমিজমি ও পারিবারিক বিরোধের কারণে ঘটেছে। মাদক ও নারী-সংক্রান্ত বিষয়েও কিছু হত্যা ঘটেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের একটি প্রজন্ম গত ১৭ বছরে নষ্ট হয়েছে, মূল্যবোধহীনতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে অপরাধীরা আইনকে ভয় করছে না।

    গাজীপুর মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরীর আটটি থানায় গত সাত মাসে ৩৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় ১১টি মামলা সর্বাধিক। কাশিমপুরে চারটি, কোনাবাড়ীতে তিনটি, টঙ্গী পশ্চিম থানায় চারটি, টঙ্গী পূর্ব থানায় আটটি, গাছা থানায় দুটি, পুবাইলে দুটি ও বাসন থানায় পাঁচটি হত্যা ঘটেছে।

    সাধারণ মানুষের ওপর ছিনতাইকারীদের হামলা ও খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ১১ জুলাই রাতে টঙ্গীর সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীর হামলায় কলেজ শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তিনি বরিশালের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। ১৭ মে টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীদের হাতে রঞ্জু (৩০) নামের এক যুবক খুন হন। এছাড়া স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতারা বৃদ্ধদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে থাকে।

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক মমিনুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনা সামাজিক অবক্ষয় ও বিচ্যুতির কারণে ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনও ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, যা সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। গাজীপুরে গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যার ঘটনাও বেড়েই চলেছে। ১৮ জুলাই কাপাসিয়ার সেলদিয়া গ্রামে মো. শাহজাহারের ছেলে মো. নূরুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২৭ জুন রাতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসের ভিতরে চোর সন্দেহে মেকানিক মো. হৃদয় (১৯) কে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

    এসব ঘটনায় গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য জরুরি ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।