ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা থেকে কারফিউ!

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই কারফিউ কার্যকর থাকবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

    এর আগে, এনসিপির সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় এক বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা এবং হামলা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। সরকার এই ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে “অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করে।

    সরকার জানায়, এনসিপির বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তরুণরা অংশ নিয়েছিল। কিন্তু এই আয়োজনের ওপর নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য এবং সংবাদকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি, আক্রমণ করা হয়েছে ব্যক্তিগতভাবেও।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী এই হামলার জন্য দায়ী। তাদের কাউকে বিনা বিচারে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রুত তাদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা করার সুযোগ থাকবে না, সরকার এই বিষয়ে এক বিন্দু ছাড় দেবে না বলে জানানো হয়েছে।

    গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির সিদ্ধান্তকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে এবং যৌথভাবে টহল ও তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা থেকে কারফিউ!

    আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই কারফিউ কার্যকর থাকবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

    এর আগে, এনসিপির সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় এক বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা এবং হামলা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। সরকার এই ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে “অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করে।

    সরকার জানায়, এনসিপির বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তরুণরা অংশ নিয়েছিল। কিন্তু এই আয়োজনের ওপর নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য এবং সংবাদকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি, আক্রমণ করা হয়েছে ব্যক্তিগতভাবেও।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী এই হামলার জন্য দায়ী। তাদের কাউকে বিনা বিচারে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রুত তাদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা করার সুযোগ থাকবে না, সরকার এই বিষয়ে এক বিন্দু ছাড় দেবে না বলে জানানো হয়েছে।

    গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির সিদ্ধান্তকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে এবং যৌথভাবে টহল ও তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।