ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ, জনসাধারণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই মাসের পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বান করা জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এসময় পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

    পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করে এবং তা প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সময় জেলা কারাগারে ভয়াবহ ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এসময় সেনাবাহিনী হামলাকারীদের শান্ত থাকার জন্য মাইকে একাধিকবার আহ্বান জানালেও, তারা সেনাবাহিনীর ওপর ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী তখন বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

    পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং প্রশাসনের জারি করা কারফিউ এখনো চলমান। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে দায়িত্ব পালন করছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় গোপালগঞ্জের সাধারণ জনগণ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন।

    আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে সর্বসাধারণকে গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শান্ত ও সংযত থাকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী পুনরায় আশ্বস্ত করে জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ, জনসাধারণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

    আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই মাসের পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বান করা জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এসময় পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

    পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করে এবং তা প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সময় জেলা কারাগারে ভয়াবহ ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এসময় সেনাবাহিনী হামলাকারীদের শান্ত থাকার জন্য মাইকে একাধিকবার আহ্বান জানালেও, তারা সেনাবাহিনীর ওপর ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী তখন বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

    পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং প্রশাসনের জারি করা কারফিউ এখনো চলমান। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে দায়িত্ব পালন করছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় গোপালগঞ্জের সাধারণ জনগণ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন।

    আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে সর্বসাধারণকে গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শান্ত ও সংযত থাকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী পুনরায় আশ্বস্ত করে জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।