ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া : ১৪৪ ধারা জারি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার চেষ্টা, উত্তেজনা ঠেকাতে সেনা-পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি

    গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই একদল ব্যক্তি সমাবেশস্থলে হামলার চেষ্টা করে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এনসিপির নেতা-কর্মী এবং পুলিশের গাড়িবহর আটকে ফেলে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা তড়িঘড়ি করে গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথ দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

    সমাবেশে হামলার ঘটনায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম পরিস্থিতি ঠিক নেই, কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের বলেছিল—সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু মঞ্চে পৌঁছেই আমরা বিপরীত চিত্র দেখি।” তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

    এই ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান পুরো জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি দল লাঠিসোটা হাতে এনসিপির সমাবেশস্থলের দিকে আগায়। তাদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের আশপাশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সরে গিয়ে আদালত চত্বরে আশ্রয় নেন। একই সময় এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌঁড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

    হামলাকারীরা মঞ্চে প্রবেশ করে চেয়ার ভাঙচুর করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং আশপাশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামলাকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং এনসিপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেন।

    পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে এনসিপি সমাবেশ আবার শুরু করে। এই ঘটনার পর গোটা গোপালগঞ্জ জুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া : ১৪৪ ধারা জারি

    আপডেট সময় ০৪:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

    গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার চেষ্টা, উত্তেজনা ঠেকাতে সেনা-পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি

    গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই একদল ব্যক্তি সমাবেশস্থলে হামলার চেষ্টা করে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এনসিপির নেতা-কর্মী এবং পুলিশের গাড়িবহর আটকে ফেলে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা তড়িঘড়ি করে গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথ দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

    সমাবেশে হামলার ঘটনায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম পরিস্থিতি ঠিক নেই, কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের বলেছিল—সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু মঞ্চে পৌঁছেই আমরা বিপরীত চিত্র দেখি।” তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

    এই ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান পুরো জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি দল লাঠিসোটা হাতে এনসিপির সমাবেশস্থলের দিকে আগায়। তাদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের আশপাশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সরে গিয়ে আদালত চত্বরে আশ্রয় নেন। একই সময় এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌঁড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

    হামলাকারীরা মঞ্চে প্রবেশ করে চেয়ার ভাঙচুর করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং আশপাশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামলাকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং এনসিপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেন।

    পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে এনসিপি সমাবেশ আবার শুরু করে। এই ঘটনার পর গোটা গোপালগঞ্জ জুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।