ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ ফাঁস-এক পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:১৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া গোপন বার্তা ফাঁস করার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমি দাশ নামে এই কনস্টেবলকে রোববার রাতে খুলশী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের একজন কনস্টেবল এবং প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। গত ১২ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বন্দর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হওয়ার পর সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ ওয়াকিটকিতে সকল পুলিশ সদস্যকে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করার মৌখিক নির্দেশ দেন।

    কমিশনারের এই বার্তা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকিটকিসহ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বস্তিতে পড়েন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একাধিক দল গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে অমি দাশকে শনাক্ত করা হয়।

    কমিশনার তার নির্দেশনায় বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবির টিমসমূহ ও সকল ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে। আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাইভ অ্যামুনিশন ছাড়া কোনো পেট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি, ডিবি পার্টি, চেকপোস্ট পার্টি বের হবে না।”

    তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র রাবার বুলেট দিয়ে কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকদিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বন্দর থানার অফিসার যে অবস্থায় পড়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে পড়লে যেন লাশ ছাড়া মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি ফেরত না আসে।”

    তিনি আরও কঠোরভাবে নির্দেশ দেন, “পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে, আই রিপিট, সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে—অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই, সবাইকে বলছি।” তিনি দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা উল্লেখ করে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারের কথা মনে করিয়ে দেন এবং বলেন, সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    উল্লেখ্য, ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ সল্টগোলা ক্রসিং ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে মিছিলরত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ ফাঁস-এক পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

    আপডেট সময় ১১:১৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া গোপন বার্তা ফাঁস করার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমি দাশ নামে এই কনস্টেবলকে রোববার রাতে খুলশী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের একজন কনস্টেবল এবং প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। গত ১২ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বন্দর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হওয়ার পর সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ ওয়াকিটকিতে সকল পুলিশ সদস্যকে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করার মৌখিক নির্দেশ দেন।

    কমিশনারের এই বার্তা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকিটকিসহ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বস্তিতে পড়েন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একাধিক দল গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে অমি দাশকে শনাক্ত করা হয়।

    কমিশনার তার নির্দেশনায় বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবির টিমসমূহ ও সকল ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে। আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাইভ অ্যামুনিশন ছাড়া কোনো পেট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি, ডিবি পার্টি, চেকপোস্ট পার্টি বের হবে না।”

    তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র রাবার বুলেট দিয়ে কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকদিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বন্দর থানার অফিসার যে অবস্থায় পড়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে পড়লে যেন লাশ ছাড়া মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি ফেরত না আসে।”

    তিনি আরও কঠোরভাবে নির্দেশ দেন, “পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে, আই রিপিট, সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে—অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই, সবাইকে বলছি।” তিনি দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা উল্লেখ করে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারের কথা মনে করিয়ে দেন এবং বলেন, সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    উল্লেখ্য, ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ সল্টগোলা ক্রসিং ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে মিছিলরত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন।