চাঁদাবাজির স্বীকারোক্তি-রিয়াদ বললেন, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি

- আপডেট সময় ০৩:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অর্থ তিনি ও তার সহযোগী জানে আলম অপু সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। রিয়াদ বলেন, “গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।”
জবানবন্দিতে রিয়াদ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে তারা গুলশানে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহম্মেদের বাসায় ঢুকে এই কাজ করেন। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে প্রথমবার অভিযান চালাতে গিয়ে বাসায় শাম্মীকে না পাওয়ার পর পরদিন সকালে পানি খাওয়ার অজুহাতে বাসায় প্রবেশ করেন রিয়াদ ও অপু। এরপর বাসায় থাকা শাম্মীর স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু বাসায় সেই পরিমাণ টাকা না থাকায় শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা নিয়ে চলে যান তারা।
রিয়াদ জানান, ওই টাকাও তারা দুজনে সমানভাবে ভাগ করে নেন। আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে ২৫ জুলাই আবারও শাম্মীর বাসায় গেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তবে তার সহযোগী অপু সে সময় পালিয়ে যায়। জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় পুলিশের সহযোগিতা করেছেন তিনি। ঘটনার দিন গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি জাকির হোসেন মঞ্জুর ফোনালাপের মাধ্যমেই অভিযানের প্রাথমিক উদ্যোগ নেয়া হয়।
রিয়াদ আরও জানান, গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নিয়ে তারা অভিযানে যান। সেদিন ভোরে শাম্মী আহম্মেদকে বাসায় না পেয়ে ফিরে আসেন, তবে পরে ব্যক্তিগতভাবে ফের বাসায় গিয়ে টাকা আদায় করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আদালতে রিয়াদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করলে বিচারক তা গ্রহণ করেন। অপর তিন আসামি—ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব—যারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা ছিলেন, তাদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান।