জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী মোট ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রশিদুল আলম। এসময় কমিশনের অপর সদস্য অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার ও অধ্যাপক ড. খ. লুৎফুল এলাহী উপস্থিত ছিলেন।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯ জন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে ৬ জন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৮ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮ জন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮ জন, নাট্য সম্পাদক পদে ৫ জন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এছাড়া সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী ও পুরুষ) পদে ৬ জন করে, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ৭ জন, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে ৮ জন, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (নারী ও পুরুষ) পদে ৭ জন, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক পদে ৭ জন এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৩টি নির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৩টি নির্বাহী সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬ জন। সব মিলিয়ে এবার মোট ৪৬ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে জিএস পদের জন্য রয়েছেন দুইজন।

নির্বাচনী তফসিল অনুসারে, ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে প্রচারণা। এরপর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।