ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

- আপডেট সময় ০৫:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে কর আদায়ে দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানিয়েছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন
• এনবিআরের সদস্য লুৎফুল আজীম,
• ভ্যাটের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)-এর অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া,
• কর গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
• কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম,
• এবং এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান।
দুদকের দাবি, এই কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি এখন গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কর আদায়ে নিয়োজিত কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তাঁরা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর কমিয়ে দেন বা কর ফাঁকির করে সুযোগ দেন। এতে সংশ্লিষ্ট করদাতা যেমন লাভবান হন, তেমনি কর্মকর্তারাও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেন। এর ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কেউ ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। কর ফেরতের ক্ষেত্রেও অনিয়ম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বেশি কর পরিশোধের পর করদাতাদের নিয়ম অনুযায়ী টাকা ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে ফেরত পেতে গেলে ঘুষ দিতে হয়—অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত করের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ। অভিযোগ রয়েছে, এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেন।
দুদকের আরও এক সূত্র জানায়, এনবিআরের কিছু বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শুল্ক, ভ্যাট এবং আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চলছে।