জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ১৪তম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

- আপডেট সময় ০৪:০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর ১৩তম দিনে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ৩৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া এসআই মো. আশরাফুল ইসলামের জেরা হয়নি। আজ শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা করবেন। তার পরই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উন্মুক্ত করেছেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষীদের বিবরণে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বীভৎস চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা এই হত্যাযজ্ঞের জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়, যেখানে ছয়জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মামলাটি ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। প্রসিকিউশন এই মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন মোট ৮১ জন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।