ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত পুতিন, তবে প্রশ্ন তুললেন পরিস্থিতি নিয়ে

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ১২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের ঐতিহাসিক তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বৈঠকের জন্য জেলেনস্কি যেকোনো সময় মস্কোয় আসতে পারেন। তবে এখনই এমন বৈঠকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, “আমি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা কখনো নাকচ করিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—ওই বৈঠকে বসার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি?” তিনি আরও যোগ করেন, “যেকোনো বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। যদি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে থাকে, তবে আমিও প্রস্তুত। জেলেনস্কি চাইলে যেকোনো সময় মস্কোয় আসতে পারেন।”

    এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবকে তাৎক্ষণিকভাবে “অগ্রহণযোগ্য” বলে নাকচ করে দিয়েছে ইউক্রেন। জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, বরাবরই পুতিন বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন এবং বিষয়টিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছেন।

    প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ চালাচ্ছেন। সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি ঘোষণা দেন, শিগগিরই পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এরপর থেকেই ট্রাম্প দুই নেতার মধ্যে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছেন, যদিও এখনো তা সম্ভব হয়নি।

    পুতিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, “যদি ইউক্রেন কোনো চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে রাশিয়া তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেন, প্রতিটি দেশই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে পারে। ইউক্রেনের জন্য যেমন বিষয়টি প্রযোজ্য, তেমনি রাশিয়ার ক্ষেত্রেও।

    রুশ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, “আমরা চাই না ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হোক। আমরা ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করতে চাই না। আমরা লড়াই করছি মানুষের অধিকারের জন্য।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত পুতিন, তবে প্রশ্ন তুললেন পরিস্থিতি নিয়ে

    আপডেট সময় ১২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের ঐতিহাসিক তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বৈঠকের জন্য জেলেনস্কি যেকোনো সময় মস্কোয় আসতে পারেন। তবে এখনই এমন বৈঠকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, “আমি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা কখনো নাকচ করিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—ওই বৈঠকে বসার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি?” তিনি আরও যোগ করেন, “যেকোনো বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। যদি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে থাকে, তবে আমিও প্রস্তুত। জেলেনস্কি চাইলে যেকোনো সময় মস্কোয় আসতে পারেন।”

    এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবকে তাৎক্ষণিকভাবে “অগ্রহণযোগ্য” বলে নাকচ করে দিয়েছে ইউক্রেন। জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, বরাবরই পুতিন বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন এবং বিষয়টিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছেন।

    প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ চালাচ্ছেন। সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি ঘোষণা দেন, শিগগিরই পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এরপর থেকেই ট্রাম্প দুই নেতার মধ্যে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছেন, যদিও এখনো তা সম্ভব হয়নি।

    পুতিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, “যদি ইউক্রেন কোনো চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে রাশিয়া তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেন, প্রতিটি দেশই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে পারে। ইউক্রেনের জন্য যেমন বিষয়টি প্রযোজ্য, তেমনি রাশিয়ার ক্ষেত্রেও।

    রুশ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, “আমরা চাই না ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হোক। আমরা ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করতে চাই না। আমরা লড়াই করছি মানুষের অধিকারের জন্য।”