ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

    টিকটকের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প!

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক–এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার মালিকানা কিনতে ফের আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অথবা তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের আলোচনার অগ্রগতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব দ্রুতই প্রেসিডেন্ট শি অথবা তাঁর পক্ষের কারও সঙ্গে বসব। ট্রাম্প আরও জানান, প্রয়োজনে তিনি নিজেই চীন সফর করতে প্রস্তুত, অথবা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন। গত মাসেই দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

    এর আগে গত মাসে ট্রাম্প চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স–কে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিক্রি করার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রয় না হলে অ্যাপটি মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ করা হবে।

    ট্রাম্প বলেন, চুক্তি সম্পন্ন করতে চীনের সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী নই, তবে আশাবাদী। প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো। এই চুক্তি শুধু আমেরিকার জন্য নয়, চীনের জন্যও লাভজনক হতে পারে। উল্লেখ্য, টিকটকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ তুলে ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশ জারি করেন তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই। ওই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন করে। পরে এপ্রিল ও জুন মাসে আরও দুটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

    এর মধ্যেই চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি স্বতন্ত্র মার্কিন কোম্পানিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা সামনে আসে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হতো মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যখন চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, তখন বেইজিং আপত্তি তোলে এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

    বর্তমানে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ এই আলোচনার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। চুক্তি সফল হলে এটি হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় কৌশলগত সাফল্য—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    টিকটকের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প!

    আপডেট সময় ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

    চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক–এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার মালিকানা কিনতে ফের আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অথবা তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের আলোচনার অগ্রগতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব দ্রুতই প্রেসিডেন্ট শি অথবা তাঁর পক্ষের কারও সঙ্গে বসব। ট্রাম্প আরও জানান, প্রয়োজনে তিনি নিজেই চীন সফর করতে প্রস্তুত, অথবা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন। গত মাসেই দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

    এর আগে গত মাসে ট্রাম্প চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স–কে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিক্রি করার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রয় না হলে অ্যাপটি মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ করা হবে।

    ট্রাম্প বলেন, চুক্তি সম্পন্ন করতে চীনের সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী নই, তবে আশাবাদী। প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো। এই চুক্তি শুধু আমেরিকার জন্য নয়, চীনের জন্যও লাভজনক হতে পারে। উল্লেখ্য, টিকটকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ তুলে ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশ জারি করেন তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই। ওই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন করে। পরে এপ্রিল ও জুন মাসে আরও দুটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

    এর মধ্যেই চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি স্বতন্ত্র মার্কিন কোম্পানিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা সামনে আসে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হতো মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যখন চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, তখন বেইজিং আপত্তি তোলে এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

    বর্তমানে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ এই আলোচনার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। চুক্তি সফল হলে এটি হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় কৌশলগত সাফল্য—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।