শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ সীমিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

- আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ অভিবাসন দমনে কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প প্রশাসন এবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অতিথি এবং বিদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের ভিসার মেয়াদ সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার জারি করা এক সরকারি নির্দেশনায় এ প্রস্তাবের কথা জানানো হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এফ ভিসা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের জন্য জে ভিসা এবং বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য আই ভিসার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে এসব ভিসা সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মসংস্থানের মেয়াদ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এফ ভিসার আওতায় প্রায় ১৬ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছেন। একই অর্থবছরে (যা শুরু হয় ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে) সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার অতিথি এবং ১৩ হাজার বিদেশি গণমাধ্যম কর্মীকে ভিসা দেওয়া হয়েছিল।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত সীমিত থাকবে। সাংবাদিকদের ভিসা সর্বোচ্চ ২৪০ দিন বৈধ থাকবে, তবে চীনের নাগরিকদের ক্ষেত্রে তা সীমিত হবে মাত্র ৯০ দিনে। প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পুনরায় আবেদন করা যাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ভিসাধারীদের কার্যকরভাবে ‘পর্যবেক্ষণ ও দেখাশোনার’ সুবিধার্থেই এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত পদক্ষেপ নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য জনগণকে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে অনুরূপ একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে তখন আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সংগঠন এনএফএসএ এর বিরোধিতা করে এবং তা বাতিলের আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প প্রশাসন বৈধ অভিবাসন পর্যবেক্ষণ আরও কড়াকড়িভাবে শুরু করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের ভিসা ও গ্রিনকার্ড বাতিলের ঘটনা ঘটেছে এবং লাখ লাখ অভিবাসীর বৈধ স্থিতি বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২২ আগস্ট ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, তারা নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের এলাকায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পরিদর্শন পুনরায় শুরু করবে। এসব পরিদর্শনে আবেদনকারীর আবাসন পরিস্থিতি, নৈতিক চরিত্র এবং আমেরিকান মূল্যবোধের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি যাচাই করা হবে।