ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশ বহাল, চূড়ান্ত শুনানি বুধবার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এক নম্বর আইটেম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে। তিনি বলেন, “আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানি হবে।” আদালতে শিশির মনিরের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

    এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানির ভিত্তিতে হাইকোর্ট সোমবার ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন আটকে যায়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন, ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাময়িকভাবে বাধা কেটে যায়।

    আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন দাখিল করলে তা সম্পূরক কার্যতালিকায় ওঠে এবং শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান।

    ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন এস এম ফরহাদ, যিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট রিট করেন ডাকসুর অপর এক প্রার্থী। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    রিটের শুনানিতে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। রুলে প্রশ্ন তোলা হয়, ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কীভাবে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হলো এবং তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।

    একই সঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, ফরহাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো রিট আবেদনকারীকে তথ্য-প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে অনুসন্ধান চালাবে, রিট আবেদনকারী, ফরহাদসহ অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনবে এবং ২১ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশ বহাল, চূড়ান্ত শুনানি বুধবার

    আপডেট সময় ০৭:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এক নম্বর আইটেম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে। তিনি বলেন, “আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানি হবে।” আদালতে শিশির মনিরের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

    এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানির ভিত্তিতে হাইকোর্ট সোমবার ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন আটকে যায়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন, ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাময়িকভাবে বাধা কেটে যায়।

    আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন দাখিল করলে তা সম্পূরক কার্যতালিকায় ওঠে এবং শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান।

    ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন এস এম ফরহাদ, যিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট রিট করেন ডাকসুর অপর এক প্রার্থী। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    রিটের শুনানিতে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। রুলে প্রশ্ন তোলা হয়, ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কীভাবে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হলো এবং তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।

    একই সঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, ফরহাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো রিট আবেদনকারীকে তথ্য-প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে অনুসন্ধান চালাবে, রিট আবেদনকারী, ফরহাদসহ অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনবে এবং ২১ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবে।