জরুরি অবতরণে রক্ষা পেলেন ২৯০ যাত্রী!
ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে ভয়াবহ স্ফুলিঙ্গ

- আপডেট সময় ১১:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / ২৮২ বার পড়া হয়েছে
আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়।
তবে দক্ষ পাইলটের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন ফ্লাইটে থাকা ২৯০ জন যাত্রী।
ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টায়। তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়।
উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাইলট উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিনে স্পষ্ট স্পার্ক দেখতে পান। দুটি ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে আগুনের ঝলকানি দেখামাত্রই পাইলট দ্রুত জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জরুরি অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দেয়।
ধারণা করা হচ্ছে, উড্ডয়নের সময় প্লেনটির ওজন কমাতে এবং নিরাপদে অবতরণের জন্য পাইলট এই সময় ধরে আকাশে তেল পুড়িয়েছেন। অবশেষে সকাল সোয়া ৮টার দিকে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ আরও বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের (পাখির ধাক্কা) কারণে ইঞ্জিনে এই স্পার্কের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্তের পরই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, ফ্লাইটের সকল যাত্রী সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের নিরাপদে প্লেন থেকে বের করে আনা হয়েছে। বর্তমানে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের দেখভাল করছে এবং তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে।
এর আগে ১৬ মে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া একটি উড়োজাহাজের চাকা খুলে পড়ার ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। সেদিন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের ল্যান্ডিং গিয়ার খুলে পড়লেও পাইলটের দক্ষতায় সেটিও নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছিল।