জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন জাতিকে মুক্ত শ্বাস দিয়েছে-তারেক রহমান

- আপডেট সময় ০৪:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে সমগ্র জাতি বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে। তিনি মনে করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুল প্রত্যাশিত এক পরিবর্তনের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যেদিন দেশের মানুষ হঠাৎ করেই মুক্তির স্বাদ অনুভব করেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, “এই মুহূর্তে সমগ্র বাংলাদেশ পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে। প্রত্যেক মানুষই চায় একটি ভালো পরিবর্তন। মানুষ চায় সামনের দিনগুলো যেন উন্নত হয়। বাস্তবতা হলো—মুহূর্তেই সবকিছু বদলে যাবে না, তবে সেই পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ অবশ্যই জরুরি।”
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ বিএনপির কাছে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরছে। তাদের বিশ্বাস, বিএনপি অন্তত পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। যেহেতু আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় বিএনপির আসার সম্ভাবনা বেশি, তাই জনগণ বিএনপির কাছেই আশা করছে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা। “আমাদেরই সেই শুরুটা করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “প্রচলিত একটি কথা আছে—দলগুলো গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু নিজেদের মধ্যে সেটি চর্চা করে না। তাহলে তারা কেমন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? কথাটি আংশিক সত্য। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো একটি দলের ভেতরে সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনও চালু হয়নি।”
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের কথা স্মরণ করে বলেন, “জিয়াউর রহমান বাকশালের অবসান ঘটিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া স্বৈরাচার বিদায় করে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন। নেতারা যে পথ দেখিয়েছেন, সেই উত্তরাধিকার চলমান রাখতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করে তুলতে হবে—স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এবং অবশ্যই দলের ভেতরেও।”